নয়াদিল্লি : "পহেলগাঁও হামলার পর ১০০ দিন কেটে গেল, কিন্তু এই সরকার ওই ৫ জঙ্গিকে এখনও ধরতে পারল না। আজ আপনাদের কাছে ড্রোন, পেগাসাস, স্যাটেলাইট, সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ আছে এবং কয়েকদিন আগেই সেখানে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, কিন্তু তবুও আপনারা তাদের ধরতে পারেননি।" 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রকে পাল্টা নিশানা কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের। এদিন লোকসভায় 'অপারেশন সিঁদুর' সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। নিজের বক্তব্যে বিরোধীদের 'জাতীয় আবেগ' নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। পাল্টা জবাবে কেন্দ্রকে নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ।
গৌরব গগৈ বলেন, "যেখানে হামলা হয়েছিল, সেই বৈসারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে এক ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল। হেঁটে যায় সেনা। আমি সেই ছবিটা ভুলতে পারব না যেখানে, এক মা ও তাঁর মেয়ে এক ভারতীয় জওয়ানকে দেখে কেঁদে ফেলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন যে, বৈসারণে জওয়ানের পোশাক পরা হত্যাকারী জঙ্গি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেই জওয়ানকে বলতে হয়েছিল যে তিনি একজন ভারতীয় এবং তাঁরা এখন সুরক্ষিত। সেখানে এই ধরনের আতঙ্ক ভোগ করতে হয়েছে মানুষকে। রাজনাথজি, এই আতঙ্ক নিয়ে আপনার একটু কথা বলা উচিত ছিল।"
সুর চড়িয়ে তাঁর সংযোজন, "শেষে কী দেখা গেল, পহেলগাঁও হামলার দায় কে নিচ্ছেন ? জম্মু ও কাশ্মীরের LG। । যদি কাউকে দায় নিতে হয়, তাহলে সেটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। LG-র আড়ালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকার লুকিয়ে থাকতে পারে না...এই সরকার এতটাই দুর্বল এবং কাপুরুষ যে তারা বলেছে যে ট্যুর অপারেটররা লোকেদের অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়াই বৈসারণে নিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সৌদি আরব থেকে ফিরে এলেন, কিন্তু তিনি পহেলগাঁও যাননি। উনি সরকারে অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন এবং বিহারে রাজনৈতিক সভায় ভাষণ দিলেন। যদি কেউ পহেলগাঁওয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী।"