Operation Sindoor: মুরিদকেতে লস্কর জঙ্গিদের হেড কোয়ার্টারে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নাহ্-র ছবি। ঝুলছে সরকারি অফিসের বোর্ড। আর সেখানেই রমরমিয়ে চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ। ভারত-পাক সীমান্ত থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকের মসজিদ আর মারকাজ তৈবাই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেড কোয়ার্টার। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার জন্য আজমল কাসবকে এখানেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। অপারেশন সিঁদুরে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে লস্কর জঙ্গিদের ট্রেনিং সেন্টার। জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দেওয়ালে মহম্মদ আলি জিন্নাহ্-র ছবি। সূত্রের খবর, জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিষয়টি আড়াল করতে নাম-কা-ওয়াস্তে এখানে খোলা হয়েছিল পঞ্জাব প্রদেশ সরকারের পশুপালন দফতরের অফিস। ২টি ঘরে সরকারি অফিস, বাকিটা জঙ্গি তৈরির কারখানা। এই অফিসে আদতে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর দুই সিনিয়র ও ৫ জুনিয়র অফিসার বসতেন বলে সূত্রের খবর।
পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম বড় ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে লস্করের ঘাঁটি মারকাজ তৈবা তছনছ করে দিয়েছে ভারত। উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওসামা বিন লাদেনের আর্থিক সাহায্যে গড়ে ওঠা লস্করের বিরাট ক্যাম্প। মধ্যরাতে অতর্কিতে প্রত্যাঘাত করে, হাফিজ সইদের জঙ্গি সাম্রাজ্য গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী।
পাকিস্তানের মুরিদকে- কেই কেন নিশানা করেছিল ভারত? এই প্রশ্নের জবাব এখন অনেকটাই স্পষ্ট। এই মুরিদকে লাহোর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার। আর এই ঘাঁটির তত্ত্বাবধানে ছিল হাফিজ সইদ। শোনা যাচ্ছে, মুরিদকের এই ঘাঁটি থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২৬/১১ মুম্বই হামলার। এমনকি আজমল কাসভ, ডেভিড কোলম্যান হেডলির প্রশিক্ষণ হয়েছিল মুরিদকের 'মারকজ তৈবা'- তে। এই জঙ্গি ঘাঁটি একেবারে ভেঙে গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে ভারতের তিন সেনাবাহিনীর একত্রিত অভিযান 'অপারেশন সিঁদুর'।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে, লাহোর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক এলাকা। এখানেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার, যা পাকিস্তানে 'সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘড়' নামেই পরিচিত। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসারন উপত্যকায় হামলার দায় শিকার করেছিল লস্করেরই একটি শাখা সংগঠন টিআরএফ- দ্য রেজিসট্যান্ট ফ্রন্ট। অনুমান, এই হামলার পিছনে আদতে হাত রয়েছে লস্কর চিফ হাফিজ সইদেরই। ভারতের ইন্টেলিজেন্স র্যাডারে অনেকদিন ধরেই ছিল মুরিদকে- র এই লস্কর হেডকোয়ার্টার। শোনা যায়, ২০০০ সালে তৈরি হয় এই মারকজ তৈবা।