নয়াদিল্লি : "সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি অপারেশন সিঁদুর। এই অপারেশন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটা নতুন লাইন টেনে দিয়েছে। এটা নতুন স্বাভাবিকতা। আমরা কেবল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান স্থগিত রেখেছি এবং ভবিষ্যৎ তাদের আচরণের উপর নির্ভর করবে।" জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২২ মিনিটের বক্তব্যে ছত্রে ছত্রে পাকিস্তান ও তাদের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যে সরকার জঙ্গিদের প্রভাবে আছে এবং যারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদের মধ্যে আমরা কোনও পার্থক্য করব না। টেরর (সন্ত্রাস) ও ট্রেড (বাণিজ্য) একসঙ্গে চলতে পারে না। পানি (জল) ও খুন (রক্ত)-ও একসঙ্গে বইতে পারে না।"
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনায় ভারতের নয়া তিন নীতির রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, "প্রথমত, ভারতের উপর জঙ্গি হামলা হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। নিজেদের কায়দায়, নিজেদের শর্তে জবাব দিয়েই ছাড়ব। সেইসব জায়গায় গিয়ে বিচার করা হবে, যেখান থেকে জঙ্গি বের হয়। দ্বিতীয়ত, কোনও নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল ভারত সহ্য করবে না। তৃতীয়ত, ভারত আর জঙ্গি নেতাদের এবং তাদের আশ্রয়দানকারী সরকারকে আলাদা সত্ত্বা হিসেবে দেখবে না।"
বরাবর জঙ্গিদের মদত দিয়ে গেছে পাকিস্তান। আবার এনিয়ে ভারতের তোলা অভিযোগ অস্বীকারও করেছে বারবার। এদিন প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং সরকার যেভাবে সেখানে সন্ত্রাসবাদকে বিকশিত হতে সাহায্য করছে, তাতে একদিন পাকিস্তানেরও অবসান হবে। যদি পাকিস্তানকে এ থেকে রেহাই পেতে হয়, তাহলে তাদের জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংস করতে হবে।" এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, "ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যদি আলোচনা হয়, তা হবে কেবল সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) নিয়ে... ভারতের অবস্থান স্পষ্ট, সন্ত্রাস, বাণিজ্য এবং আলোচনা একসঙ্গে করা যাবে না।