নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দেশের ভিতরে সব যাত্রী বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ২৪ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে দেশের শহর থেকে শহরে সব বাণিজ্যিক, যাত্রী বিমান আসা-যাওয়া বন্ধ থাকছে। বিমান কোম্পানিগুলিকে বলা হয়েছে, কাল রাত ১২টার আগে যাতে সব বিমান নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, তা তাদের সুনিশ্চিত করতে হবে। এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে না শুধুমাত্র মালপত্র, পণ্য সরবরাহকারী বিমান সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের বিদেশযাত্রার যোগ থাকায় বাইরে থেকে সংক্রামিত হয়ে দেশে ফিরছেন লোকজন, তাদের থেকে তা ছড়াতে পারে, এমন আশঙ্কায় রবিবার আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করে কেন্দ্র। কিন্তু, ডোমেস্টিক বা ঘরোয়া বিমান পরিষেবা বন্ধ হবে কি, হবে না, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এই অবস্থায় সবরকম বিমান পরিষেবা বন্ধের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি লেখেন, আমরা প্রত্যেকেই COVID-19 ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছি। সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আন্তঃরাজ্য গণপরিবহণ বন্ধ। রাজ্যের মধ্যে যানবাহন যতটা সম্ভব কম চালানো হচ্ছে। রেল ও মেট্রো পরিষেবাও ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ। কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন যে, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও বিমান পরিবহণ বন্ধ করেনি। যার জেরে কোয়ারেন্টিন প্রোটোকল ভঙ্গ হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ রুখতে পশ্চিমবঙ্গমুখী বিমান পরিষেবা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে আপনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মতো, এদিন বিহারমুখী বিমান পরিষেবা বন্ধের দাবি তোলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও একই দাবিতে সরব হন।
সেই দাবি মেনে নিল কেন্দ্র।
যদিও কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী আগেই বলেছিলেন, সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা বন্ধ করার ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবে।