পাটনা : রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস পালন নিয়ে নিজের আপত্তির কথা আগেই জানিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি সত্ত্বেও ধুমধামের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন হয় রাজভবনে। সেই ঘটনায় আরও একবার ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাটনায় বিবোধী দলগুলির বৈঠক শেষে তৃণমূলনেত্রী সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বললেন, "বিজেপি একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। বাংলায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হচ্ছে, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই পালিত হয়েছে। কিছু বললেই সিবিআই-ইডি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা হওয়া উচিত নয়।"


একতরফা সিদ্ধান্ত। রাজ্য মন্ত্রিসভার কোনও সম্মতি নেই। পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রাজ্যপালকে চিঠিও লেখেন তিনি। রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের উদ্যোগ নেন রাজ্যপাল। NCC-র অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে রাজ্যপালকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।


মমতা বন্দ্যোপপাধ্য়ায় বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নেওয়া হয়েছে।' রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কেন তা করা হচ্ছে, বলে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি সংবিধান সম্মত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁদের ফোনে কথোপকথনের পর, পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করে রাজ্যপালকে চিঠিও লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু


এপ্রসঙ্গেই আজ পাটনায় সাংবাদিক বৈঠকে সরব হন মমতা। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই বাংলায় প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে।' বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, "কিছু বললেই সিবিআই-ইডি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা হওয়া উচিত নয়। অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে, দলিত, মহিলাদের ওপর অত্যাচার, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ, এগুলো নিয়ে কোনও চিন্তা নেই বিজেপির। বিজেপির কালা কানুনের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বিজেপির চেষ্টা আর কোনও নির্বাচনই হবে না। বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করব।"


এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কি একজোট হতে পারবে বিরোধীরা ? এনিয়ে আজ পাটনায় মেগা বৈঠকে বসে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বৈঠকের অন্যতম হোতা নীতিশ কুমার জানিয়ে দিলেন, ভোটে একসঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এই মর্মে আরও একটি বৈঠক শীঘ্রই হবে বলে জানিয়ে দেন জেডিইউ নেতা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।