নয়াদিল্লি: ইতিউতি বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীদের অভাব-অভিযোগ জানাতে দেখা গিয়েছিল আগেই। তবে রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)_ গর্জে ওঠার পরই শুরু হয় আলোচনা। সংসদে বিরোধী শিবিরের নেতাদের কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বার বার সেই নিয়ে অনুরোধ জানালেও, স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) কোনও আবেদনে সাড়া দেননি বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল। তার পরই এ বার লোকসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার তোড়জোড় শুরু হল (No-confidence Motion)। বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে এই প্রস্তাব আনবে বলে জানা গিয়েছে। 


দিল্লির একটি সূত্র জানাচ্ছে, কংগ্রেসের বৈঠকে বিষয়টি ঠিক হয়েছে। এ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গেও কথা চলছে তাদের।  সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে এখনই এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ বিরোধী দলগুলি। 


চার বছর পুরনো মানহানি মামলায় সম্প্রতি গুজরাতের সুরত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। তার পর দিনই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয় আদালতে। তাঁকে সরকারি বাংলোও খালি করতে বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর উপায় যদিও রয়েছে রাহুলের, কিন্তু জাতীয় স্তরে বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। 


সেই আবহেই সংসদ, সর্বোপরি স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তাদের অভিযোগ, বাজেট অধিবেশনে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, কেন্দ্রকে রাহুলের তীব্র আক্রমণের পর থেকেই বিরোধীদের কোনও ভাবে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না সংসদে। এমনকি মাইক পর্যন্ত বন্ধ করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। 


সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে একই অভিযোগ তোলেন রাহুল। তিনি জানান, তাঁর নামে কেন্দ্রের মন্ত্রীরা একের পর এক মিথ্যে কথা বলে গিয়েছেন সংসদে। সাংসদ হিসেবে তার কৈফেয়ত দেওয়ার অধিকার থাকা সত্ত্বেও, সেই অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। চিঠি লিখে এমনকি নিজে গিয়ে দেখা করে স্পিকারকে কথা বলতে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্পিকার হাত তুলে নেন বলে দাবি করেন রাহুল।সংসদে গণতন্ত্রের রক্ষকের ভূমিকায় থাকা স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাহুল।


সেই নিয়ে সোমবারও হই-হট্টগোল হয় সংসদে। কালো ফিতে হাতে বেঁছে সংসদে উপস্থিত হন কংগ্রেস সাংসদরা। স্পিকারের চেয়ারের দিকে কাগজ উড়ে যেতেও দেখা যায়। স্পিকার চলে যাওয়ার পর ব্যানার, পোস্টারও পড়তে দেখা যায়। এমনকি ১৭ মার্চ কংগ্রেসের তরফে একটি ভিডিও রেকর্ডিংও প্রকাশ করা হয়, তাতে কারও আওয়াজ শোনা যায়নি, ভিডিও জুড়ে শুধু নীরবতাই ছিল। কংগ্রেসের দাবি, বিরোধীদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ যাতে কারও কানে না পৌঁছয়, তার জন্যই মাইক বন্ধ রাখা হয়েছিল।