মেলবোর্ন: ভারত অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধু। ভারতের ৭৪-তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পাঠানো বার্তায় বললেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। দুনিয়ার সর্বত্র ভারতীয়দের আস্থা, সম্মান, বন্ধুত্বের বার্তা পাঠিয়ে তিনি বলেছেন, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার গভীর বন্ধুত্ব বাণিজ্য, কূটনীতির আঙিনাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ভরসা, সম্মানের ভিতের ওপর তৈরি হওয়া এই বন্ধুত্বে মিশেছে গভীরতা। গণতন্ত্র, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সম্প্রদায় ও দোস্তি এগুলি এই সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য়। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অস্ট্রেলিয়া সার্বিকভাবে সামিল, ভারতের জনগণকে আমাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানাই।
চলতি কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রতি ইঙ্গিত করে মরিসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এবারের উদযাপন হয়তো অন্য ধরনের হবে, প্রথামাফিক জনসমাগম অতটা হবে না, তবে দুটি দেশ তাদের শেয়ার করা মূল্যবোধ থেকে শক্তি সংগ্রহ করতে পারে। প্রেসিডেন্ট কোবিন্দের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় আমি বলেছিলাম, আমাদের সংস্কৃতি আলাদা হতে পারে, কিন্তু আমরা একই বিষয়ে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে ব্যালট বাক্সের শক্তিতে, আইনের শাসনে, অধিকার রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয়, আরও এক উন্নত বিশ্ব গড়ায় মুক্ত, স্বাধীন মানুষের দায়িত্বে ভরসা রাখি। আমাদের শেয়ার করা মূল্যবোধ, স্বার্থ ও লক্ষ্যের কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমি এ বছর জুনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সামগ্রিক কৌশলগত পার্টনারশিপের স্তরে তুলে নিয়ে গিয়েছি।
মরিসন আরও বলেছেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চালিত হয় এই অঞ্চল ও বিশ্ব সম্র্লদায়ের একক লক্ষ্যের উদ্দেশে, বোঝাতে চেয়েছেন যে দুটি দেশ যখন স্বাস্থ্য, সমাজ ও অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলা করতে সচেষ্ট, তখন এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, আমাদের দুটি দেশের মধ্যে বন্ধনের সেতু হলেন জনগণই। পডুয়া, দক্ষ কর্মী বা যুক্ত হওয়া পরিবার, ভারতীয় ঐতিহ্যের অধিকারী লোকজন এই দেশকে সমৃদ্ধ করেছে। পরিযায়ীদের সবচেয়ে বড় উত্স হল ভারত এবং ওদের উপস্থিতি বিশ্বের বুকে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বহুসংস্কৃতির দেশ হয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেছে।