কলকাতা: করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজন বিদায়ী বিধায়কের মৃত্যু। বারুইপুর পূর্বের ২ বারের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মণ্ডলের মৃত্যু হল।
করোনা আক্রান্ত হয়ে এমআর বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। আব্দুর রহমান, গৌরীশঙ্কর দত্তের পরে আর একজন বিদায়ী বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।
২০১১ থেকে বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক নির্মল মণ্ডল। এবার বয়সজনিত কারণে তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কয়েকদিন আগেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খড়দা আসনের প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে প্রয়াত হন কাজল সিনহা।
করোনা প্রাণ কেড়েছে এবারের নির্বাচনের আরও দুই প্রার্থীর। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর জঙ্গিপুর আসনের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই দুই প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই দুই আসনে নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে। নির্বাচন হবে ১৬ মে। এছাড়াও আরও কয়েকজন প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তেহট্টের বিদায়ী বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্ত। এবারের নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থী করেনি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু করোনা প্রাণ কাড়ল এই প্রবীণ বিদায়ী বিধায়কের। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি।
বীরভূমের মুরারাইয়ের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহমানেরও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে ওই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল দল। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসেন। তাঁর জায়গায় আলাদা প্রার্থী দেয় দল। এরপর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসাপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও অব্যাহত করোনার চোখরাঙানি। ফের করোনা সংক্রমণের নয়া রেকর্ড। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৫ জন। এক্ষেত্রে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে ফের রেকর্ড। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতাতেই ১ দিনে আক্রান্ত ৩ হাজার ৯০১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ১ দিনে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ৯১২ জন। সবচেয়ে বেশি ২৩ জনের মৃত্যু কলকাতায়। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, সামান্য কমেছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। অ্যাক্টিভ কেস বাড়ল ৪ হাজার ৪২৯।
বিস্তারিত আসছে...