নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সঙ্গে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। সরকারি সূত্র বলছে, দেশে কোভিডের ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে শিশুদের ওপর। ইতিমধ্যেই মহামারীতে অভিভাবকহীন হয়েছে ৫৭৭ জন শিশু।


কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, কোভিড মহামারীর জেরে দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ মানুষ। আমেরিকা, ব্রাজিলের পর বিশ্বে সবথেকে বেশি কোভিডে মৃতের সংখ্যা ভারতে। দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে কোভিডে মৃতের এই ডেটা পেয়েছে সরকার। সূত্রের খবর, কোভিডে বাবা-মাকে হারিয়ে এখন এইসব অনাথ শিশুরা তাদের আত্মীয় বা পরিচিতদের কাছেই রয়েছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই অনাথ শিশুদের বিষয়ে খবর রাখছে কেন্দ্র।


দেশের এই অনাথ শিশুদের স্বার্থে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের 'নন ইনস্টিটিউশনাল চাইল্ড কেয়ার' ফান্ডের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা করে প্রতিটি জেলাকে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই অনাথ শিশুদের পাচারের বিষয়ে আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথা বলে পুলিশকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। যদিও অনাথ শিশুদের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সরকারের দাবি, কিছু সংস্থা বা ব্যক্তি অনাথ শিশুদের পরিসংখ্যান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। মূলত, ওই শিশুদের সংখ্যা কম দেখিয়ে সক্রিয় হতে পারে পাচার চক্র। সেই আশঙ্কায় রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।


এখানেই থেমে থাকেনি সরকারের উদ্যোগ। কোভিডে অভিভাবক হারা শিশুদের বিষয়ে মন্তব্য করার আগে সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, প্রামাণ্য নথি না থাকলে কোনও শিশুকে যেন অনাথ বলা না হয়। পাশাপাশি এই বিষয়ে অনাথ শিশুদেরও এগিয়ে আসতে বলেছে সরকার। কোভিডে অভিভাবকহীন শিশুদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে সরকার। মূলত, তাদের সাহায্যের জন্যই এই সরকারি নথিভুক্তিকরণ।


দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে দেশবাসীর। অক্সিজেন, বেড, ওষুধ ভ্যাকসিন নিয়ে কদিন আগেও হাহাকার শুরু হয়েছিল বেশ কয়েকটি রাজ্যে। যদিও পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই শুধরেছে। একে একে দিল্লি , মধ্যপ্রদেশ নিজেদের সেফ জোনে আনতে পেরেছে। এই দুই স্থানে দৈনিক কোভিড পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশের নীচে।