নয়া দিল্লি: ভারতে জঙ্গি ঢুকিয়ে, নিরস্ত্র হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে পাকিস্তান, সেই বদলা নিতে চায় ভারতবাসী। শনিবার নরেন্দ্র মোদি ফের বুঝিয়ে দিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে, আন্তর্জাতিক মহল ভারতের পাশেই রয়েছে। তবে কীভাবে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।                                       

শনিবার ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন লোক কল্যাণ মার্গে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। পহেলগাঁও হামলার পরে ওমর আবদুল্লার সঙ্গে মোদির প্রথম বৈঠক। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে যোগ্য প্রত্যাঘাতে সেনা পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর। এর পর সেনা পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পরে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠক হয়। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কথা হয় দু'জনের।                   

এদিন ফের নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কারণ এখনও সীমান্তে পাক উস্কানি চলছেই। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর থেকে টানা ৯ দিন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের। গতকাল মধ্যরতে ফের কুপওয়াড়া, উরি, আখনুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে পাক সেনা।                          

এই আবহে ফের সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে কড়া বার্তা নরেন্দ্র মোদির। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সীমান্তপারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে'। অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্টকে পাশে বসিয়ে বার্তা মোদির। তিনি বলেন, 'মানবতার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ। পহেলগাঁওয়ে হামলা নিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন অ্যাঙ্গোলার রাষ্ট্রপতি। সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতায় মদতদাতাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াই চলবে'। 

পহেলগাঁও হামলার পরই মোদি বলেছিলেন, 'এই হামলা শুধুমাত্র নিহত পর্যটকদের ওপর হামলা নয়, দেশের শত্রুরা ভারতের আত্মার ওপর হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমি একেবারে পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, যারা এই হামলা চালিয়েছে, সেই সব সন্ত্রাসবাদীদের আর হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের, তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তাদের কল্পনারও বাইরে। শাস্তি পাবে। শাস্তি হবেই হবে। এবার সন্ত্রাসবাদীদের বেঁচে থাকা জমিটুকুও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।  ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছাশক্তি এবার সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভেঙে দেবে।'