নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও সন্ত্রাসের নেপথ্যে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা, পাক গোয়েন্দা সংস্থা ISI এবং পাক সেনার মিলিত ষড়যন্ত্রের তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। বৈসরনে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্য়ালীলা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে পাকিস্তান থেকে। হামলায় জড়িত দুই পাক জঙ্গি হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তলহা। পুরো অপারেশন পর্বে লাগাতার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল এদের। NIA সূত্রে খবর, তাদের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে একথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

NIA সূত্রে খবর, তদন্তে জানা গেছে, হামলা চালানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র বেতাব ভ্যালিতে লুকিয়ে রেখেছিল জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, NIA-র তদন্ত রিপোর্টে জঙ্গিদের ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স বা OGW-দের ভূমিকারও উল্লেখ রয়েছে। বৈসরনে নিরীহ পর্যটক খুনের ঘটনায় কারা কারা ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স হিসেবে কাজ করেছে, সূত্রের খবর, তাদের তালিকাও তৈরি করে ফেলেছে NIA. তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সূত্রের খবর, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে ১৫০ জনের বয়ানের উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, NIA-র ডিজি-র নেতৃত্বেই পহেলগাঁওয়ের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজের খোল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এখনও তার রিপোর্ট আসা বাকি। এদিকে প্রতিদিনই সামনে আসছে, সেদিন পহেলগাঁওতে থাকা বিভিন্ন পর্যটকের অভিজ্ঞতার কথা। তাঁদের কেউ বলছেন, ঘোড়াওয়ালাদের কথাবার্তা সন্দেহ জনক ছিল। কেউ বলছেন, সেদিন গুলির শব্দের সঙ্গে সঙ্গে  জিপলাইন অপারেটরের 'আল্লা হু আকবর' বলা ছিল রীতিমতো সন্দেহজনক। মৃত শুভম দ্বিবেদীর স্ত্রীও দাবি করেছেন, সেদিন তাঁর পরিবারের মানুষজন উপরে উঠতেই চাইছিলেন না। ঘোড়ার চালকদের সঙ্গে এক চোট তর্কও হয়। কার্যত জোর করেই পাঠানো হয় তাঁদের উপরে। এছাড়া তাঁর সন্দেহ সেদিন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কিন্তু আসেনি আক্রমণকারীরা। সম্ভবত তাদের হাতেই কেউ অস্ত্র তুলে দেয়। তাই তাঁর সন্দেহ ওখানকার হকার, ক্যামেরাওয়ালা, শালওয়ালাদের উপর। তাদেরও যোগাযোগ থাকতে পারে হামলাকারীদের সঙ্গে। 

অন্যদিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের আবহে, জয়সলমিরের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল রাজস্থান ইন্টেলিজেন্স। ধৃতের নাম পাঠান খান। অফিসিলিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-এর ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।