Pahalgam Attack: পহেলগাঁওতে হামালা চালানো জঙ্গিরা একটি নামি ই-কমার্স সংস্থা থেকে মোবাইলের চার্জার অর্ডার করেছিল তাদের হ্যান্ডলার এবং ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য, সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তদন্তে। অপারেশন মহাদেবের সময় তিনটি মোবাইল চার্জার উদ্ধার করা হয়েছিল নিহত জঙ্গিদের থেকে। এরপর এইসব চার্জারের ভালভাবে ছানবিন করে জানা যায় যে, এর মধ্যে একটি চার্জার ছিল ভিভো টি২এক্স ৫জি (অরোরা গোল্ড) ফোনের সঙ্গে। এমনটাই জানা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, এই তদন্তের জন্য মোবাইল ফোনের কোম্পানি ভিভো এবং ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল চার্জার কোথায় কেনা হয়েছে তা জানার জন্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দাচিগাম ফরেস্টের কাছে মুলানার-মহাদেব এলাকা থেকে এই চার্জার উদ্ধার করা হয়েছিল। সিএনএন-নিউজ ১৮ সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে তাদের জানানো হয়েছে যে, ভিভো সংস্থা ১৩ অগস্ট জানিয়েছিল যে ওই চার্জার তারা তৈরি করেছে। পরবর্তীতে ফ্লিপকার্টের তরফেও জানা যায় যে, ইকবাল কম্পিউটারের মুসাইব আহমেদ চোপান ওই ডিভাইস কিনেছিলেন। এরপর নিজের বয়ানে মুসাইবও স্বীকার করেছে যে মহম্মদ ইউসুফ খান কাটারিকে ওই চার্জার তিনি বিক্রি করেছিলেন। এই মহম্মদ ইউসুফ খান কাটারি হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি পহেলগাঁওতে হামলা চালানো জঙ্গিদের 'লজিস্টিক সাপোর্ট' দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে এও জানা গিয়েছে যে, ২৪ মে, ২০২৫ তারিখে ইউসুফ কাটারি mPay- এর মাধ্যমে ১৪,৫০০ টাকা পেমেন্ট করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর ব্যাঙ্কের রেকর্ড থেকে এই ট্রানজাকশন রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। জেরার সময় মহম্মদ ইউসুফ কাটারিও স্বীকার করেছেন যে, পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছিলেন তিনি, এমনটাই দাবি পুলিশের। আফগান ভাই, সুলেমান শাহ, জিবরান- এই তিন জঙ্গি যখন দাচিগ্রামের ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল, তখন তাদের সাহায্য প্রদান করেছিলেন ইউসুফ কাটারি।
এনআইএ জানিয়েছে, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় হামলা চালানোর পিছনে মাস্টারমাইন্ড ছিল এই তিন জঙ্গিই। পুলিশের অনুমান, পহেলগাঁওতে হামলা চালানোর পর জঙ্গিরা যখন দাচিগ্রামে পালিয়ে গিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল, সেই সময় তাদের সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছিল এই মহম্মদ ইউসুফ কাটারি। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের বাসিন্দা এই ব্যক্তিকে ১৫ দিনের হেফাজতে নিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জোরকদমে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। জঙ্গিদের সাহায্যকারী হিসেবে আর কারা কাজ করছিল তাদের কথাও জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে এই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে।