বেজায় ভয় পেয়েছে পাকিস্তান। সীমান্তে পাক উস্কানি অব্যাহত। পরপর ৯ দিন ধরে বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গুলি চালিয়ে  যাচ্ছে পাক সেনারা। জবাব দিচ্ছে ভারতও। কিন্তু যুদ্ধবিরতি চুক্তি উড়িয়ে সীমান্তরেখাকে অশান্ত করার চেষ্টা করেই যাচ্ছে পাকিস্তান। এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু করে দিল পাক সেনা। সূত্রের খবর, সুধানৌতি এলাকায়  অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক সেনাবাহিনী। আর কাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ? সেনাবাহিনী নয়, একদম আম আদমিকে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের ট্রেনিং।  নিয়ন্ত্রণরখায় গুলির লড়াই বদলে যেতে পারে  যুদ্ধে। আশঙ্কা করছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের 'প্রধানমন্ত্রী' চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার। তাই  পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে স্থানীয় প্রশাসন সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের দুই মাসের জন্য খাবারের জোগান রাখার কথা বলে দিয়েছে।

নিউজ এজেন্সি এএফপির প্রতিবেদনের মতে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের 'প্রধানমন্ত্রী' চৌধুরী আনোয়ারুল হক বিধানসভায় জানিয়েছেন যে, ১৩টি নির্বাচনী এলাকায় দুই মাসের জন্য খাদ্য মজুত রাখতে হবে। এর জন্য এক অর্থ কোটি টাকার জরুরি তহবিলও গঠন করা হয়েছে।  তিনি জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি এলাকায় রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি যন্ত্রপাতিও মোতায়েন করা হচ্ছে।

ভারতের পদক্ষেপে ভীত পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি বলেছিলেন যে, তার কাছে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ আছে যে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ভয়ে পাকিস্তানে পিওকে-র কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (১ মে ২০২৫) ১০০০-এর বেশি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। 

আসলে যতই হম্বি-তম্বি করুক না কেন, পাকিস্তানের গর্জনই সার। এমনটাই বলছে সূত্র। হুমকিই সার। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভূমি থেকে ভূমি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হুমকি দিয়ে নোটাম জারি করে পাকিস্তান। কিন্তু যাকে বেপরোয়া উস্কানিমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে ভারত। তিন-তিনবার শুধু হুমকিই শোনা গেছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনটাই খবর সূত্রের। 

এদিকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানে হুমকি, ভারত যদি সিন্ধুর জল আটকাতে কোনও কিছু নির্মাণ করে, তবে পাল্টা আক্রমণ করবে পাকিস্তান। তর্জনগর্জনে অবশ্য কেউই পিছিয়ে নেই। পাক সেনাপ্রধান বলেছেন, ভারতের কোনও সেনা যদি দুঃসাহস করে, তাহলে কড়া জবাব দেওয়া হবে। এদিকে আবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পর এবার সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার স্বীকারোক্তির সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর গলাতেও। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্রবের বিষয়টি কার্যত মেনে নিয়েও বুক বাজিয়ে বিলাবল জারদারি ভুট্টো বলেছেন, 'যদি ওরা সিন্ধুতে হামলা করে, ওরাও জানে, হয় এই সিন্ধু দিয়ে জল বয়ে যাবে, নইলে রক্ত বইবে'। বিলাবলের হুঁশিয়ারি, ধমকি দিলে আমরাও যুদ্ধের জন্য তৈরি। তার জন্য চরম সীমায় যেতেও প্রস্তুত।