প্যারিস: সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই ফেলে রাখল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ। সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাল পিটিআই। পাশাপাশি লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এর মতো জঙ্গি সংগঠনকে অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত, সাহায্যের ওপর নজর রাখা এই আন্তর্জাতিক সংস্থা।
পাকিস্তানের ধূসর তালিকায় বহাল থাকার অর্থ, তাদের পক্ষে আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আর্থিক অনুদান পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়বে, যার জেরে তাদের আরও গভীর আর্থিক দুর্দশা, সঙ্কট বাড়বে।
১৬ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি-এফএটিএফের প্লেনারি বৈঠক বসেছিল প্যারিসে। সেখানেই পাকিস্তানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এফএটিএফ পাকিস্তানকে কালো তালিকায় ফেলা থেকে এক পা পিছিয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানকে ২০২০-র জুনের মধ্যে ২৭টি মাপকাঠির সবকটিই মানতে বলেছে তারা। এপর্যন্ত ইমরান খানের দেশ ২৭টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার মধ্যে ১৩টি নিয়েছে, যেগুলি মূলত সন্ত্রাসে অর্থ ঢালা সংক্রান্ত। কয়েকটি বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত। পাকিস্তানকে আরও চার মাস সময় দিয়ে পুরো মাপকাঠি পূরণ করতে বলা হয়েছে, নইলে নতুন মূল্যায়নে তাদের কালো তালিকায় ঠাঁই হতে পারে বলে সাবধান করেছে এফএটিএফ।
চলতি সপ্তাহে সূত্রে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান যে ধূসর তালিকাতেই থাকছে, এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে প্যারিসের বৈঠকে তাদের কালো তালিকায় ফেলার সম্ভাবনাও নেই।
পাকিস্তানকে গত অক্টোবরে গ্রে লিস্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এফএটিএফ, লস্কর, জইশ ও অন্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে অর্থ সরবরাহ বন্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায়।
পাকিস্তানের পাশে এখনও পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে চিন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবের মতো দেশগুলি। পাকিস্তানের শেষ পর্যন্ত কালো তালিকায় জায়গা হলে বসতে হবে উত্তর কোরিয়া, ইরানের পাশে। আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি হবে তাদের ওপর, যাবতীয় আর্থিক লেনদেনও আরও কঠিন নজরদারির মুখে পড়বে।
সূত্রের দাবি, পাকিস্তানকে ধূসর তালিকার বাইরে বেরনোর ব্যাপারে আটটি পয়েন্টের একটি লিস্ট দিয়েছে এফএটিএফ। ২০১৮-র জুনে প্রথম তাদের ওই তালিকায় ফেলা হয়। পাকিস্তানের বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দমন বিষয়ক আইন ও তার রূপায়ণে গলদ রয়েছে বলে জানিয়ে এই পদক্ষেপ করেছিল এফএটিএফ।