ফিরোজপুর : রাত বাড়তেই নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক হামলা আবারও। শুক্রবারও সীমান্তবর্তী এলাকা কাটাল নিদ্রাহীন রাত। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির বেশির ভাগই ছিল ব্ল্যাকআউটের আওতায়। কুপকুপে অন্ধরাতে আগুনে লাল ড্রোন দেখন মানুষ। ঝাঁকে ঝাঁকে যেন উড়ে এল আগুন-পাখি। আর অসম্ভব দক্ষতায় অন্তরীক্ষেই তাকে বধ করল ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, এর মধ্যে বেশকিছু ছিল অস্ত্রবাহী ড্রোন। উপর থেকে ফেলা হল ঘাতকাস্ত্র। আর তাতে আহতও হলেন সাধারণ মানুষ। 

'আমাদের বাড়ির উপরে লাল রঙের একটা আলো এসে পড়ল, তীব্র লাল আলো। সঙ্গে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ। আমরা ভয় পেয়ে গেলাম। সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর আমরা আমাদের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখি আমাদের বাড়ির উপরে থাকা জলের ট্যাঙ্ক এবং আমাদের প্রতিবেশীদের বাড়ির উপরে থাকা জলের ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণ হয়েছে । সেই সময় ব্ল্যাকআউট ছিল, এবং সমস্ত আলো নেভা ছিল..." জানালেন  জলন্ধরের গ্রাম কাঙ্গনিওয়ালের সুরজিত কৌর । পাক ড্রোন হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁর বাড়ি।   

আতঙ্কের রেশ কাটাতে পারছেন না সুরজিৎ। ভয় থরথর করে কাঁপছেন কোলে একরত্তি ছেলেকে নিয়ে। সারা রাত কাটছে নিদ্রাহীন ভাবে। আকাশ জুড়ে মাঝে মাঝেই মিলছে ড্রোনের দেখা।                 

সাধারণ মানুষের বাড়িঘরের পাশাপাশি পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ধর্মস্থানগুলিও। জম্মু কাশ্মীরের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, "ভারতের সেনাবাহিনী এই ড্রোনটিকে আকাশে ধ্বংস করেছে। ড্রোনটি গুরুদ্বার কোটলি অর্জন সিং-এর উপর দিয়ে উড়ছিল। যদি এটি ধ্বংস না করা হত, তাহলে গুরুদ্বারটির ক্ষতি হতে পারত। কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায়, গুরুদ্বারটি নিরাপদে আছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সমস্ত আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে... আমরা সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছি, যখনই প্রয়োজন হবে আমরা তাদের সাথে থাকব..."

শুক্রবার শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জম্মু-পাঠানকোট-সাম্বা সেক্টরে পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় কাটল আতঙ্কের রাত। অমৃতসরে পাক ড্রোন নিষ্ক্রিয় করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। জয়সলমেরে ৪টি পাক ড্রোন ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। আখনুর সেক্টরে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে ধ্বংস হয়ে যায় পাক ড্রোন। পাঠানকোট সীমান্তেও পাক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে ভারত ।  সাম্বা সেক্টরেও ভারতীয় সেনা খতম করে পাক ড্রোনের কারসাজি।