ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধজিগির তুলছে পাকিস্তান। ক্রমাগত ড্রোন, মিশাইল, নিয়ে হামলার চেষ্টা করছে ভারতীয়দের উপর। তাদের টার্গেট নিরীহ সাধারণ প্রাণই। এরই মধ্যে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। শুক্রবার রাত ঠিক ১টা ৪৪ মিনিট । ঠিক চার দিনের মাথায় আবারও ভূমিকম্প পাকিস্তানে। 

আগের দিনের তুলনায় এবার ধাক্কাটা বেশি। ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় । এবার আফগানিস্তান সীমান্তের দিকে এই কম্পনের উরসস্থল। এর জেরে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানও। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪.০। 

এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

গত সোমবারও পাকিস্তানের উত্তর প্রান্তে ও তার সংলগ্ন এলাকায়  বারে বারে  ভূমিকম্প হয়।

এর আগে, ১২ এপ্রিল পাকিস্তানে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা  ছিল ৫.৮।   জম্মু ও কাশ্মীরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গত ১২ এপ্রিল দুপুর ১টানাগাদ ৩৩.৬৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭২.৪৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে রিখটার স্কেলে ৫.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। 

উল্লেখ্য, ভূমিকম্পে পাকিস্তান বহুবার নড়ে উড়েছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ২০০৫ সালে  ৮ অক্টোবর সকাল ৮.৫০ মিনিটে, রিখটার স্কেলে ৭.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়।  যার কেন্দ্রস্থল ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মুজাফফরাবাদ। নিয়ন্ত্রণ রেখার (LOC) উভয় পাশেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়।  আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, ভারত এবং জিনজিয়াং অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয় সেবার। এটি ছিল দশকের পঞ্চম মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।  সেবার পাকিস্তানে ভূমিকম্পে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৩,২৭৬ থেকে ৮৭,৩৫০ জন। যদিও বেসরকারি সূত্রের দাবি ছিল, মৃতের সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি । ভারতেও বেশ কিছু মানুষ এই কম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত হন।  ২০০৫ সালের ভূমিকম্পে ৩.৫ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন, প্রায় ১,৩৮,০০০ মানুষ আহত হন। 

এনসিসি এবং অন্যান্য ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার মতে, ভূমিকম্পের পর আফটারশকের সম্ভাবনা রয়েছে। কখনও কখনও আফটারশক কয়েক ঘন্টা পরেও আসতে পারে এবং এর প্রভাব বিপজ্জনক হতে পারে। তাই মানুষকে সতর্ক থাকার এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে ভয় না পেতে আহ্বান জানানো হয়েছে। জানমালের ক্ষতি হয়নি এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে কোনও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে, প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ে নজর রাখছে এবং স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিটগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।