নয়া দিল্লি: প্রেমের টানে পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন এক ভারতীয় মহিলা। ফেসবুকের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতেই নাকি পাকিস্তান ছুটেছিলেন বিবাহিত মহিলা। পাকিস্তানের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বৈধভাবে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই মহিলার পাকিস্তানি বন্ধু জানিয়েছেন, প্রেমের কোনও বিষয়ই নেই। বরং ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ২০ অগাস্ট ভারতে ফিরে আসবেন ওই ভারতীয় মহিলা। 


২৯ বছর বয়সী নাসরুল্লা বলেছেন যে ৩৪ বছর বয়সী অঞ্জুকে বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা তার নেই। জানা গিয়েছে, ২০১৯-এ নাসরুল্লা ও অঞ্জু ফেসবুকে বন্ধুত্ব করেছিলেন। এরপর চলত কথা। পেশোয়ার থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে জেলার কুলশো গ্রাম থেকে নাসরুল্লা  ফোনে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, অঞ্জু পাকিস্তানে এসেছেন ঠিকই, তবে বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। 


তিনি এও বলেন, 'অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ শেষ হলেই তিনি ভারতে ফিরে যাবেন। অঞ্জু অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে বাড়ির একটি ঘরে থাকছেন।' নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি অফিসিয়াল নথি অনুসারে, অঞ্জুকে ৩০ দিনের ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। 


এদিকে, শেরিংগালের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান স্নাতক নাসরুল্লাহ পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। তাঁরা যে গ্রামে  থাকেন সেখানে তাঁরা অত্যন্ত ধার্মিক। তাঁরা চান অঞ্জু নিরাপদে ভারতে ফিরে আসুক কারণ তারা এই ঘটনার কারণে তাদের সম্প্রদায়ের জন্য কোনও বদনাম চায় না, এমনটাই জানিয়েছেন। 


অন্যদিকে, রাজস্থানে থাকা অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ আশাবাদী যে তার স্ত্রী শীঘ্রই ফিরে আসবেন। তাঁদের ১৫ বছরের একটি মেয়ে এবং ৬ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।  


আরও পড়ুন, 'ভোলে বাবা পার করেগা', তারকেশ্বরে শিবের মাথায় জল ঢালতে লক্ষাধিক ভক্তের ভিড়


অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ রাজস্থানের ভিওয়াদিতে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে তিনি জয়পুর যাওয়ার অজুহাতে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কিন্তু পরে পরিবার জানতে পারে যে সে পাকিস্তানে রয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অঞ্জুর পাকিস্তানে যাওয়ার খবর জানার পর পরিবার কোনও অভিযোগ করেনি।


অঞ্জুর ঘটনার সঙ্গে সীমা গোলাম হায়দারের ঘটনার মিল রয়েছে। এর আগে চার সন্তানের একজন পাকিস্তানি মা ভারতে এসেছিলেন তাঁর PUBG খেলার সঙ্গী সচিন মীনার সঙ্গে থাকতে লুকিয়েই ভারতে এসেছিলেন। অবৈধ উপায়ে ভারতে আসার জন্য তাঁকে  গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ।