নয়াদিল্লি: মণিপুরের ঘটনা (Manipur News) নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল সংসদ। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটিতে হয়ে চলা জাতিগত হিংসার ঘটনায় বিজেপি সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি। এই নিয়ে প্রথম দিন থেকেই বারবার মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে তৈরি। সেই আলোচনা করার জন্য বিরোধীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন শাহ। তিনি বলেছেন, 'এই স্পর্শকাতর ঘটনার সম্পর্কে সব সত্যি জানা উচিত দেশবাসীর।'
মাসদুয়েকের বেশি সময় ধরে জাতিগত হিংসায় ছারখার হচ্ছে মণিপুর। মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই একশোরও বেশি প্রাণ ঝরেছে। ঘর ছেড়ে শিবিরে থাকতে হচ্ছে অসংখ্য আক্রান্ত পরিবারকে। সম্প্রতি মণিপুরের একটি পুরনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গিয়েছিল, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দুই মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচার করছে। তারপরেই গোটা দেশে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। মণিপুরের বিজেপি সরকার থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার- দুই প্রশাসনকেই মণিপুরে চলা হিংসার ঘটনার জন্য দায়ী করে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা।
এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। আর সেখানেই বিজেপি সরকারকে চাঁছাছোলা আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। মণিপুরের ঘটনা নিয়ে তুমুল হই-হট্টগোলের জেরে অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিভিন্ন বিরোধীদলের একাধিক সাংসদ মুলতুবি প্রস্তাব ও সাসপেনশন নোটিস দিয়েছেন। এদিনও বিরোধী সাংসদদের তুমুল হইহট্টগোলের পরে আগামীকাল পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা।
মণিপুরের ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। সে রাজ্যে গিয়ে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল গাঁধী। মণিপুরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন অমিত শাহও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন কোনও বিবৃতি দিচ্ছেন না তা নিয়ে কড়া আক্রমণ শানিয়েছিল কংগ্রেস। তারপরে সম্প্রতি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে বাদল অধিবেশন শুরুর দিনে, অধিবেশন শুরুর আগে একটি বার্তা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘটনার নিন্দা করে, দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। বিরোধীদের দাবি, মণিপুর কাণ্ড নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর উপস্থিতিতেই পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হোক।