নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই, মন্তব্য করে বিতর্কে বিজেপি নেতা। ২০২০-র দিল্লি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৮ ফেব্রুয়ারি। অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমি পার্টি (আপ) ছেড়ে বিজেপিতে ঢোকা তথা কেজরিবাল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী কপিল মিশ্র ট্য়ুইট করেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি, দিল্লি। ভারত বনাম পাকিস্তান। ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রাস্তায় ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে একটা লড়াই হবে।
যদিও তিনি তাঁদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আপ বা কংগ্রেসের মধ্যে কাকে পাকিস্তান বলে দেখাতে চাইছেন, তা পরিষ্কার নয়। শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী অবস্থানের প্রসঙ্গ তুলেও তিনি বলেছেন, পাকিস্তান এর মধ্যেই শাহিনবাগে ঢুকে পড়েছে, দিল্লিতে পাকিস্তানের ছোট ছোট এলাকা তৈরি করা হচ্ছে।

৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে বিজেপিই জিতবে, ১১ ফেব্রুয়ারি ভোটগণনার দিন অরবিন্দ কেজরিবাল মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেবেন বলেও আরেকটি ট্যুইটে দাবি করেন তিনি।
২০১৭য় কেজরিবাল তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করেন। গত বছর দলত্যাগ-বিরোধী আইনে আপ বিধায়ক পদও খারিজ হয় তাঁর।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আপ বিধায়ক অখিলেশপতি ত্রিপাঠির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন কপিল।
এদিকে আপ নির্বাচন কমিশনে লিখিত নালিশ জানিয়েছে যে, মডেল টাউন আসনে বিজেপি প্রার্থী কপিল শর্মার কাছ থেকে ভুল মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করতে হবে। আপের চিঠিতে বলা হয়েছে, দশ বছর ধরে বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্রের দখলে রয়েছে একটি সরকারি আবাসন। নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসারে প্রার্থীদের সরকারি আবাসনে জল, ইলেকট্রিসিটি, টেলিফোন খরচের বকেয়া নেই, বা নো ডিউজ সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দিতে হয় মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়। কিন্তু কপিল মিশ্র সেই সার্টিফিকেট দেননি বা ২৬নম্বর ফর্মের পার্ট এ-র ৮ নম্বর জায়গাটাও পূরণ করেননি, ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁকা রেখে দিয়েছেন।