ইসলামাবাদ: রাতারাতি বদলে গেল পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এবার টালমাটাল গদি ইমরান খান সরকারের (Imran Khan government)। অনাস্থা প্রস্তাবের আগেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) এর ২৪ এমপি আশ্রয় নিলেন ইসলামাবাদের সিন্ধ হাউসে। পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই শুরু হয়েছে বিদ্রোহ।  


জিও নিউজের মতে, পিটিআইয়ের অসন্তুষ্ট জাতীয় পরিষদের সদস্য রাজা রিয়াজও ইমরানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। পাক টিভিকে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের দিন অনেক এমএনএ বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে ইমরান খান আশ্বস্ত করলেই তারা সংসদ লজে ফিরে যেতে প্রস্তুত।


জিও নিউজের সাথে কথা বলার সময়, পিটিআই এমএনএ মালিক নবাব শের ওয়াসির ও রিয়াজ বলেছেন, পিটিআইয়ের প্রায় ২৪ জন সদস্য বর্তমানে সিন্ধ হাউসে রয়েছেন। আরও অনেক মন্ত্রী এখানে আসতে প্রস্তুত। জাহাঙ্গীর তারিন গ্রুপের সদস্য রিয়াজ পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীরকে বলেছেন , ভিন্নমতালম্বী সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেবেন।


ভয়ে সিন্ধ হাউসে সাংসদরা ?


পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন মালিক নবাব শের ওয়াসির। তিনি জানান, কোনওভাবেই পিটিআইয়ের টিকিটে আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি। সেই চিন্তা থেকেই একের পর এক তেহরিকের নেতা সিন্ধ হাউসে একত্রিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ২৪ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে। পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীরের মতে, সিন্ধ হাউসে এই মুহূর্তে ২০ জন পাকিস্তান তেহরিক-এ ইনসাফ (PTI)-এর সাংসদ উপস্থিত রয়েছেন। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন অসন্তুষ্ট নেতা ক্যামেরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। অজানা ভয়ের কারণেই সবাই 
সিন্ধ হাউসে আশ্রয় করছেন।


পরিসংখ্যান কি বলেছে ?
একটি অনাস্থা প্রস্তাব সফল হওয়ার জন্য সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৩৪২ সদস্যের মধ্যে ১৭২ জন সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন। ইমরান খান এখনও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভোগ করেন। যার মধ্যে তার পিটিআইয়ের ১৫৫ সদস্য ও জোট অংশীদারদের ২৩ জন সদস্য রয়েছে।বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা ১৬৩। বিরোধীরা আশা করছে, ক্ষমতাসীন জোটের কিছু অসন্তুষ্ট বিধায়ক ইমরান খানের সরকারকে অপসারণে তাদের সাহায্য করবে। ২০১৮ সালে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন ইমরান খান।২০২৩ সালে ফের পাকিস্তানে নির্বাচন। এবার মেয়াদকালের আগেই নড়বড়ে ইমরানের সরকার।