নয়া দিল্লি: অপারেশন সিঁদুরে ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। ইসলামাবাদ থেকে ২৫ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত নুর খান একটি কৌশলগত বিমানঘাঁটি, ভারতীয় হামলায় সেই ঘাঁটিও ধ্বংস হয়েছিল। তবে এবার ভারতীয় স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, নূর খান বিমানঘাঁটি ফের তৈরি করছে পাকিস্তান। 

নতুন স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে, মে মাসে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আঘাতে ধ্বংস হওয়া স্থাপনা ও যানবাহনের জায়গায় নতুন দেয়াল ও কাঠামো তৈরি হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, ১০ মে আঘাতের দিন ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা ১৭ মে-র মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। আর ৩ সেপ্টেম্বরের ছবিতে দেখা যায় নতুন দেয়াল ও কাঠামো, যা মূল নকশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ম্যাক্সারের উপগ্রহ চিত্র সামনে এনে দাবি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির। 

নূর খান ঘাঁটিটি পঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডির চাকলালায় অবস্থিত । এটি ব্রিটিশ শাসনের সময় নির্মিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর সেনাদের প্যারাসুট অভিযানে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তী বছরগুলিতে, এটি পরিবহন এবং সরবরাহের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মালিক নূর খানের সম্মানে এর নামকরণ করা হয়।  

নূর খান পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি। এখানে কেবল প্রায় অর্ধ ডজন পিএএফ স্কোয়াড্রনই নয়, পাকিস্তানের সাব এরিয়ে আগাম সতর্কতা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে। এটি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান, সাব ২০০০ এবং আইএল-৭৮ মিড-এয়ার রিফুয়েলারের ঘাঁটি, যা সরবরাহ এবং কৌশলগত বিমান পরিবহন কার্যক্রমের জন্য এটিকে গুরুতেপূর্ণ করে তোলে। আইএএফ-এর নুর খান বিমানঘাঁটিতে এই হামলা কৌশলগত এবং একই সঙ্গে প্রতীকী ছিল। কারণ, এই বিমানঘাঁটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের কাছেই অবস্থিত এবং এটি বিমান চলাচলের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এই কেন্দ্র থেকে সায়াব এরিআই (Saab Erieye), সি-১৩০ পরিবহন বিমান, এবং আইএল-৭৮ রিফুয়েলিং প্লেন পরিচালনা করা হয়, যা সামরিক রসদ, নজরদারি, এবং অপারেশনাল কার্যক্রমে অপরিহার্য।                                  

ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা প্রকাশ করেনি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে সু-৩০ থেকে নিক্ষিপ্ত ব্রহ্মোস এবং রাফাল থেকে উৎক্ষেপিত স্কাল্প মিসাইল এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছিল।