নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। পঞ্জাব সীমান্তে নিহত পাকিস্তানি নাগরিক। ওই ব্যক্তি সীমান্ত পেরনোর সময়ই বিষয়টি নজরে পড়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (BSF). তাঁকে বার বার সতর্কও করা হয়, পিছু হটতে বলা হয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে খবর। কিন্তু BSF-এর নির্দেশ মানেননি ওই ব্যক্তি। বাধ্য হয়ে গুলি চালালে ওই ব্যক্তি মারা যান বলে জানা গিয়েছে। (Pakistani National)

পঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে ভোররাতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। BSF-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তে এক অনুপ্রবেশকারীকে দেখা য়ায়। কাঁটাতারের বেড়ার দিকে এগিয়ে আসছিলেন তিনি। BSF সতর্ক করলেও কথা শোনেননি। সামনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন। তাতেই বাধ্য হয়ে গুলি চালায় BSF. (India-Pakistan Conflict)

BSF জানিয়েছে, রাত ২.৩০টে নাগাদ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন ওই পাকিস্তানি নাগরিক। ফিরোজপুরের লাখা সিংহওয়ালা পোস্টের ২০৭/১ নং ফটকের কাছে তাঁকে দেখতে পান ভারতীয় জওয়ানরা। বার বার থামতে বলা হলেও কথা শোনেননি। তাতেই গুলি চালায় BSF. ওই পাকিস্তানের নাম-পরিচয় জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তিনি সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিক, না কি অন্য কোনও যোগ ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে, চলতি সপ্তাহে পঞ্জাবেরই গুরুদাসপুর জেলায় এক পাকিস্তানি নাগরিক ধরা পড়েন। তিনিও বেআইনি ভাবে সীমান্ত টপকে ভারতে ঢোকেন। সেই ব্যক্তিকে মহম্মদ হুসেন নামে শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে পঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে পাকিস্তানি মুদ্রা, পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। 

পাশাপাশি, কাশ্মীরের পুঞ্চ এবং রাজস্থান সীমান্তেও পাকিস্তানি নাগরিকের গ্রেফতার হওয়ার খবর মিলেছে। রাজস্থানে গ্রেফতার হয়েছেন এক পাক রেঞ্জার। তিনি গুপ্তচর কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। BSF জেরা করছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের এক BSF জওয়ানও পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি রয়েছেন। ভুল করে সীমান্ত টপকে পাকিস্তানের এলাকায় ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। দুই তরফে বার বার বৈঠকের পরও সেই নিয়ে সমাধানসূত্র বেরোয়নি এখনও পর্যন্ত।

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের জেরে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পঞ্জাবও। সেখানে সীমান্ত সংলগ্ন স্কুল-কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছে। উড়ছে না বিমানও। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ৫৩২ কিলোমিটার সীমান্ত পঞ্জাবের উপর দিয়েই গিয়েছে। ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তরন তারনে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। পুলিশদেরও ছুটি বাতিল করেছে সরকার।