নয়াদিল্লি: যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত নিয়ে একের পর এক তথ্য় উঠে আসছে। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের উপদেষ্টা রানা সানাউল্লা। জানালেন, ভারতের তরফে ‘ব্রহ্মোস’ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে। পরিস্থিতি বুঝে ওঠার জন্য মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড সময় পেয়েছিল ইসলামাবাদ। (India-Pakistan Tension)
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমেই মুখ খুলেছেন রানা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ ঘনিয়ে আসার উপক্রম হয়েছিল বলে বার বার দাবি করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশই তাঁর সেই দাবি যদিও খারিজ করেছে। কিন্তু তাঁদের মনেও পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল বলে এবার ইঙ্গিত দিলেন রানা। (India Pakistan Conflict)
পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে রানা বলেন, “নূর খান এয়ারবেসে ভারত যখন ‘ব্রহ্মোস’ ছোড়ে, তাতে পরমাণু ওয়ারহেট রয়েছে কিনা, তা বোঝার জন্য পাকিস্তানে সেনার কাছে ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড সময় ছিল। যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেই ৩০ সেকেন্ড অত্যন্ত কম সময়।”
পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে অবস্থিত দেশের বায়ুসেনার নূর খান বিমানঘাঁটি। রানার কথায়, “পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ না করে ভারত ভাল করেছে বলছি না। কিন্তু বুঝতে ভুল হতেই পারত। সেক্ষেত্রে এদিক থেকে যদি পরমাণু অস্ত্র ছোড়া হতো, তাহলে পৃথিবীর বুকে পরমাণু যুদ্ধ নেমে আসতে পারত।”
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা নিরীহ পর্যটকদের হত্যা করলে, পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিকে নিশানা করে Operation Sindoor চালায় ভারত। এর পর কার্যত সম্মুখসমরে অবতীর্ণ হয় দুই দেশ। পরস্পরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হামলা চালানো হয়।
ভারতের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় পাকিস্তানের। তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটির রানওয়ে, হ্যাঙ্গার, একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নূর খান ছাড়াও সারগোদা, ভোলারি, জাকোকাবাদ, সুক্কুর, রহিম ইয়ার খান ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়ও নূর খান ঘাঁটিকে নিশানা করেছিল ভারত। স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতেও ক্ষয়ক্ষতি ধরা পড়ে। ভারত ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চারদিন ব্যাপী ওই সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতির কৃতিত্বও দাবি করে আসছেন তিনি লাগাতার।