নয়াদিল্লি : গতকালই পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হারিয়েছে ভারত। সেই হারের রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে সামনে এল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের হুঙ্কার। বললেন, "পাকিস্তান যদি অর্থনীতি ও উন্নয়নের নিরিখে ভারতকে পরাজিত করতে না পারে তাহলে পাকিস্তান থেকে তাঁর নাম মুছে যাবে।" প্রসঙ্গত, ভাষণে মাঝে প্রায়শই অতি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পাক প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে সভা-সমাবেশে তাঁর ব্কতৃতা নিয়ে অনেক সময় অ্যানিমেশনও হয়েছে।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ডেরা গাজি খানে গিয়েছিলেন শেহবাজ শরিফ। সেখানে ভাষণ রাখার সময় বাতাসে তাঁকে মুঠি ও বাহু ছুড়তে দেখা যায়। মাঝেমধ্যে পেডিয়ামে লাফিয়ে পড়তে এবং একাধিক বার বুকে চাপড়ও মারেন। বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, "তাঁদের প্রয়োজন মেটাতে তাঁর সরকার কঠোর পরিশ্রম করছে।" তিনি বলেন, "পাকিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি করতে আমরা দিন-রাত কাজ করব। উপরওয়ালা সব সময় পাকিস্তানকে আশীর্বাদ করেছে।" এরপরই তিনি উপস্থিত সকলকে উদ্দীপ্ত করতে বলে ওঠেন, "আমাদের চেষ্টার জেরে যদি উন্নতির নিরিখে ভারতকে পাকিস্তান পিছনে না ফেলে দেয় তাহলে আমার নাম আর শেহবাজ শরিফ থাকবে না।"
এরপরই তিনি তাঁর দাদা ও পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নামে শপথ করে বলেন, "আমি নওয়াজ শরিফের ভক্ত। তাঁর অনুগামী। তাঁর নামে শপথ করে বলছি, এখনও পর্যন্ত আমার সেই উৎসাহ-ইচ্ছা আছে। পাকিস্তানকে মহান করে তুলতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব এবং ভারতকে পরাস্ত করব।"
দেশের আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে তাঁর সরকার কী করছে তা নিয়ে ডেরা গাজি খানের মানুষকে আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে শেহবাজ শরিফের এই পরিদর্শন। এই সফরে গিয়ে তিনি ওই এলাকার জন্য তাঁর সরকারের বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর কথা তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই করুণ। আন্তর্জাতিক বোঝা বেড়ে গেছে প্রচুর।
এই হুঙ্কার ছাড়ার ১৫দিনেরও কম সময় আগে, নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চেয়েছিলেন শেহবাজ। যদিও ভারত বারবার বলে এসেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা তখনই সম্ভব যখন তাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ দূর করা হবে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কথায়, "আলোচনা ও সন্ত্রাসবাদ হাতে হাত রেখে চলতে পারে না।" India-Pakistan Relations