প্যারিসকেন্দ্রিক ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কালো তালিকায় চলে গেলে পাকিস্তানের আর্থিক সংস্কার কর্মসূচিতে জোর ধাক্কা লাগত। কেননা কালো তালিকায় থাকলে সেই দেশের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপে বলে আইএমএফ তাদের এক ঘরোয়া রিপোর্টে জানিয়েছে। আইএমএফের আর্থিক সহায়তা, বিনিয়োগ ও অন্যান্য মূলধনী সহায়তাও বন্ধ হতে পারে।
বর্তমানে ইরান কালো তালিকায় রয়েছে।
পাকিস্তান এবার কালো তালিকায় ঢোকা থেকে বাঁচল তুরস্ক, মালয়েশিয়া পাশে দাঁড়ানোয়। এই দুটি দেশের নেতৃত্ব ইসলামাবাদকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিল আগেই। কালো তালিকায় পড়া এড়াতে তিনটি দেশের সমর্থন লাগত। যদিও এপ্রিলের মধ্যে ধূসর তালিকা থেকে বেরতে না পারলে আপনাআপনিই কালো তালিকায় ঠাঁই হবে পাকিস্তানের।
আজ প্যারিসে সপ্তাহখানেকের প্লেনারি বৈঠকে বসে ৩৯টি সদস্য দেশের এফএটিএফ পাকিস্তান, ইরানের রেটিং কী হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য। লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ ও অন্যদের সন্ত্রাসের জন্য আর্থিক মদত দেওয়া রোধে ব্যর্থতার কারণে গত বছরের অক্টোবরে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এফএটিএফ।
ভারতের লাগাতার দাবি, পাকিস্তান লস্কর, জয়েশ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েই চলেছে। এফএটিএফের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে ভারত।
গতকালই পাকিস্তানের নাম না করেই এফএটিএফ জানায়, ‘বেআইনি কাজকর্মের মাধ্যমে জোগাড় করা অর্থ, বিশ্বব্যাপী সমর্থকদের মাধ্যমে আসা অর্থে’ একাধিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ফায়দা তুলেই চলেছে। এতে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় ফেলার সম্ভাবনা জিইয়ে ওঠে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
তবে পাকিস্তানের ধূসর তালিকায় থেকে যাওয়ার অর্থ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে তাদের কূটনৈতিক প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে দমনে তাদের শেষ মূহূর্তে নেওয়া পদক্ষেপেও কাজ হয়নি।
গত সপ্তাহেই পাকিস্তানের এক আদালত মুম্বই সন্ত্রাসের মাস্টারমাইন্ড লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার দুটি মামলায় ১১ বছরের কারাবাসের সাজা দেয়।