নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের সঙ্গে সিনধু জলবণ্টন চুক্তি রদ করার পর, আজ বিকেলে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাটিলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে এরই মধ্যে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বৃহস্পতিবার বলেন, “যারা হামলা চালিয়েছে, তারা মুক্তিযোদ্ধা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন, যাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর এটিই উপত্যকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইশাক দার বলেন, ‘‘পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের জল দরকার। ভারত যদি জল বন্ধ করে দেয়, সেটা যুদ্ধ ঘোষণারই সামিল হবে। ভারত হামলা করলে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেবে।’’ পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকেও একই সুরে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বৈঠকের পর বলা হয়, “ভারতের তরফে জলপ্রবাহ রোধ বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণার মতো কাজ হবে।” এছাড়াও, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ দাবি করেছেন, ভারত পাকিস্তানে হামলার ছক কষছে। তাঁর ভাষায়, “আমাদের নাগরিকদের ক্ষতি করলে ভারতও ছাড় পাবে না। বদলা হবে বদলার মতো।”
বিকেল ৪টে নাগাদ ওই বৈঠক হওয়ার কথা। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একাধিক কড়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। নয়াদিল্লি সিনধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করতেই, তাকে কার্যত যুদ্ধের সামিল বলে আখ্য়া দিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কীভাবে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি বাতিল করা হবে, তার জন্য কোন কোন ধাপে এগোতে হবে, সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীর বৈঠকে সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলিই আলোচনায় উঠে আসবে।
বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ডেপুটি চিফ সৈফুল্লাহ্। তার নির্দেশেই বৈসরনে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়। নাম, পরিচয়, ধর্ম জেনে বেছে বেছে খুন করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। সূত্রের খবর, লস্করের ডেপুটি চিফের নির্দেশে ৫ জন জঙ্গি নিয়ে হামলার পরিকল্পনা করা হয়। পহেলগাঁওয়ে হামলা চালাতে ফেব্রুয়ারি মাসেই পরিকল্পনা সেরে ফেলে সৈফুল্লাহ্।