কলকাতা: ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে পরপর এয়ারপোর্ট বন্ধ করল পাকিস্তান (Pakistan Airport)। কাল সকাল ৬ পর্যন্ত লাহৌর বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। আজ সন্ধে ৬ পর্যন্ত করাচি বিমানবন্দর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত: পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আক্রমণ করেছে ভারত। রেডার সিস্টেমকে ধ্বংস করল ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতের পর আতঙ্কে পাকিস্তান। এই আবহে এবার দেশের তিন গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লাহৌর, করাচি, ইসলামাবাদ বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের ড্রোন হামলার পর পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বর্বরোচিতভাবে নাগরিক নিধনের পর মঙ্গলবার ভারতের 'মিডনাইট স্ট্রাইক' দেখেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মূল ভূ-খণ্ডের ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে একেবারে পিন পয়েন্টে হামলা চালিয়েছে ভারতের মিসাইল। একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে জইশের হেডকোয়ার্টার্স। আর এই অবস্থায় ল্যাজেগোবরে পাকিস্তান আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে। তারই অন্যতম বড় প্রমাণ হচ্ছে পাকিস্তানের একের পর এক ছবি। পরপর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। ইসলামাবাদে নাগরিকদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করে মাইকে প্রচার করছে পাক প্রশাসন। সন্ধে ৭টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডিতে ব্ল্যাকআউট। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বহাল থাকবে নির্দেশিকা। নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া শিয়ালকোট-ছাম্ব সেক্টরের আশেপাশের এলাকায় সমস্ত গ্রাম খালি করা হয়েছে। সেনা চৌকি, পুলিশ স্টেশন ও হাসপাতালকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পাক প্রশাসন। দেশজুড়ে চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ এবং প্যারা মেডিক্যাল কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাক সরকার।
এদিকে এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, "সারা বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হচ্ছে। ২০১৪-তে মোদির নেতৃত্বে সরকার আসার পর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত করার উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুণমান ও পরিমানের উপর নজর দিয়েছে। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে বরাবর সংযম দেখিয়েছি। কিন্তু, তার মানে এই নয় আমাদের সংযম দেখানোর সুযোগ কেউ নেবে। তা যখন হয়ে থাকে, তখন গতকালকের মত প্রত্যাঘাতই হবে। আমরা সবরকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।'