নয়াদিল্লি : এদিকে পহেলগাঁও-ইস্যু নিয়ে ভারতের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে চাপে পাকিস্তান। কূটনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার পাশাপাশি পাকিস্তানকে চিন্তায় ফেলেছে ভারতীয় সেনার জল-স্থল-অন্তরীক্ষে মহড়া। এরই মাঝে অশান্ত হল পাকিস্তান আফগানিস্তান বর্ডার। সূত্রের খবর , আফগান সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢোকার চেষ্টা করছিল আফগান 'জঙ্গি'রা। বড় একটি দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢুকেই পড়েছিল পাক সীমান্তে। সেখানে রবিবার হল তীব্র গুলি বিনিময়। সূত্রের খবর, হাসান খেল এলাকায় পাক সেনা ও আফগান অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৫৪ জনের। রবিবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তান।
পাক সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে এই ঘটনাটি ঘটে। আফগানিস্তান এখন তালিবান-শাসিত। সেখান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন এক দল 'জঙ্গি'। তাদের ৫৪ জনকে খতম করেছে পাক সেনা।
সামরিক মিডিয়া উইংয়ের মতে, এবছর ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে রাত্রে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের কথা জানতে পারে পাক নিরাপত্তা বাহিনী । 'খোয়ারিজ'দের একটি বৃহৎ দল অর্থাৎ পাকিস্তানি তালিবানদের একটি দল আফগানিস্তান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। তাদেরই রুখে দেয় পাক সেনা।
কারা এই 'খোয়ারিজ' ? পাকিস্তানি তালিবানদের এই নামে ডাকা হয় পাকিস্তানে। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি গোষ্ঠীভুক্ত এরা । পাকিস্তানের অভিযোগ, এদেরকে মদত দেয় আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। অতীতেও বারবার পাকিস্তানে নাশকতা চালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল এদের বিরুদ্ধে। এবার এমনই এক দলকে সীমান্তে নিকেশ করেছে বলে দাবি করল পাকিস্তান।
সেনা বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমাদের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিয়েছে। হত্যা করা সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সন্ত্রাসবাদী দল বিশেষ করে তাদের "বিদেশি প্রভুদের" নির্দেশে পাকিস্তানে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য অনুপ্রবেশ করছিল।