করাচি (পাকিস্তান) : এ যেন চিত্রনাট্য ! ভারতীয় 'প্রেমিকার' সঙ্গে দেখা করতে যা করলেন পাকিস্তানি কিশোরী (Pakistani Teen Girl), তা কোনও সিনেমার গল্পেই সম্ভব। প্রথমে নিজের গয়না বিক্রি, পরে সেই টাকায় বিমানের টিকিট কেটে দুবাই এবং কাঠমাণ্ডু যাত্রা । কাঠমাণ্ডু (Kathmandu) থেকে ভারতে প্রবেশ !
ইকরা জিভানি। গত মাসে বেঙ্গালুরু থেকে উদ্ধার করা হয় পাকিস্তানি এই কিশোরীকে। সেখানে মুলায়ম সিং যাদব নামে এক হিন্দু ব্যক্তির সঙ্গে ছিল সে। যদিও এই মুলায়ম সিং যাদব এখন জেলে। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পাক প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
ঘটনাটা কী ?
এই দুই প্রেমিক-প্রেমিকার অনলাইনে পরিচয় হয়। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। সেইমতো কয়েক মাস আগে ওই কিশোরী পাকিস্তান থেকে নেপাল পৌঁছয়। সেখানেই তারা বিয়ে করে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে থাকে ওই কিশোরীর পরিবার। নামপ্রকাশ করতে না চাওয়া ওই পরিবার সূত্রের খবর, ভারতের তরফে ওই কিশোরীকে হস্তান্তরের পর লাহোর থেকে তাদের মেয়েকে আনতে যান কিশোরীর বাবা, কাকা ও মা।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিখোঁজ হয়ে যায় ইকরা। কলেজ যাওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি সে। ইকরার বাবা জানান, "পুরো বিষয়টা এখন ক্লোজড চ্যাপ্টার। আমরা জানি না, ও কী করে নিজে নিজেই ভারতে যাওয়ার সাহস জোগাড় করল। ও এমনিতে খুব লাজুক। প্রত্যেকরে মতোই আমরাও অবাক হয়ে গেছি। "
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে মাত্র ১৬ বছরের একজন কিশোরীর পক্ষে কীভাবে সম্ভব হল করাচি, দুবাই, কাঠমাণ্ডু হয়ে ভারতে আসার ? এনিয়ে কিশোরীর পরিবার বলছে, ও এরকম একটা দীর্ঘ ও বিপজ্জনক জার্নি করেছিল কারণ, ও ভেবেছিল একজন ভারতীয় মুসলিম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সমীর আনসারির সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চলেছে। কিন্তু, আনসারি বাস্তবে বছর ২৬-এর মুলায়ম সিং যাদব। যে বেঙ্গালুরুর একজন নিরাপত্তারক্ষী। অনলাইন লুডো গেম খেলার সময় তাদের পরিচয় হয়।
কিশোরীর পরিবার সূত্রের আরও খবর, গত চার মাস ধরে যা চলছে তা থেকে এখনও বেরোতে পারেনি তারা। প্রসঙ্গত, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিজের গয়না বিক্রি করে দিয়েছিল ওই কিশোরীর। এছাড়াও নিজের বন্ধুর কাছে টাকা ধার নিয়েছিল বিমানের টিকিট কিনতে।