হিন্দোল দে, রঞ্জিত হালদার, ভাঙড়: মারধরের অভিযোগ, পথ অবরোধ। ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ জমি রক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামকে অফিস থেকে বের করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। জমি রক্ষা কমিটির পাল্টা অভিযোগ, হাড়োয়া রোড দিয়ে তখন ফিরছিলেন তাঁদের সম্পাদক মির্জা হাসান। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রণক্ষেত্র ভাঙড়ের পোলেরহাট, খামারআইট।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়, র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স।


সোমবার ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১২ টা। পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, সেই সময় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে কথা বলতে আসেন জমি রক্ষা কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য। খোঁজ করেন পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের। এরপর হঠাৎই তাঁদের মারধর করতে শুরু করেন জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামকে অফিস থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি হাকিমুলের।


ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ঘটনা সেখানেই থামেনি। এরপর জমি রক্ষা কমিটির পাল্টা অভিযোগ, হাড়োয়া রোড দিয়ে তখন ফিরছিলেন তাঁদের সম্পাদক মির্জা হাসান। গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। 


জমি রক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেনের দাবি, ‘তৃণমূলের কাউকে মারধর করা হয়নি। আমাদের লোকেরাই পরিস্থিতি সামাল দেয়। ১০০ দিনের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিডিওকে জানানোর পরও কাজ শুরু হয়নি। আমাদের সম্পাদককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করেছে তৃণমূল।’


দোষীদের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া রোড অবরোধ করে জমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দু'পক্ষই।