নয়া দিল্লি: পানামা পেপার্সের পরে এবার প্যান্ডোরা পেপার্স! বিশ্বের ২০০টি দেশের বিত্তশালীদের কর ফাঁকি দেওয়ার চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ফাঁস হতেই হইচই বিশ্বজুড়ে। এবার এই নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
প্যান্ডোরা পেপার্স কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করেছে ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট বা আইসিআইজে। সূত্রের দাবি, প্যান্ডোরা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে কয়েকজন ভারতীয়র। এই প্রেক্ষাপটেই তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা CBDT। সংস্থার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তদন্তে সাহায্য করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট।
দেশে নজরদারি এড়াতে প্রথমসারির ব্যক্তিরা কীভাবে তাঁদের সম্পদ বিদেশী অ্যাকাউন্টগুলিতে সরিয়ে দিয়েছেন। রবিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। এই তথ্য ফাঁসের নামকরণ করা হয়েছে, ‘দ্য প্যান্ডোরা পেপার্স’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, ধনকুবের, ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়াবিদদের গোপন সম্পদ ও লেনদেন ফাঁস হয়ে গিয়েছে এই নথিপত্রে। তাঁদের মধ্যে ভারতেরও কয়েকজনের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন, এই প্রেক্ষাপটেই তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস বা CBDT
ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিটাম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) বছর দুয়েক আগে এ সংক্রান্ত তথ্যগুলি পেয়েছিল। দীর্ঘ এক বছর অনুসন্ধানের পর প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা গিয়েছে যে, বিদেশে এই অবৈধ লেনদেন খতম করতে পারতেন, এমন ক্ষমতাবানরা গোপন কোম্পানি ও ট্রাস্টে সম্পদ লগ্নি করে সুবিধা ভোগের পথ বেছে নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৪ টি- বিদেশি পরিষেবা প্রদানকারীর গোপন নথিতে, উদাহরণ হিসেবে, দেখা গেছে যে, এক প্রাক্তন রাজস্ব আধিকারিক, এক প্রাক্তন ট্যাক্স কমিশনার, এক প্রাক্তন সেনা অফিসার, প্রাক্তন আইন আধিকারিক ও আরও এমন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিদেশি সংস্থা গড়েছেন।