কলকাতা: ওড়িষার কটকের কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে উদ্ধার প্যাঙ্গোলিন। স্থানীয় বন দপ্তরের কর্তাদের উদ্ধৃত করে ওই প্যাঙ্গোলিনের করোনাভাইরাস টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তাদের সূত্রে খবর, কটকের আথাগড় ফরেস্ট রেঞ্জের একটি সেন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটিকে। ৫ বছর বয়সের মেয়ে প্যাঙ্গোলিনটি কী করে ওই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এল, তা স্পষ্ট হয়নি।
আথাগড় ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সস্মিতা লেঙ্কা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরপঞ্চের তরফে খবর পেয়ে তাঁর টিম কোয়ারেন্টিন সেন্টারে গিয়ে প্যাঙ্গোলিনটিকে উদ্ধার করে। তিনি বলেছেন, ওখানে ৪২ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। ফলে সেখান থেকে প্যাঙ্গোলিনটি উদ্ধার হওয়ায় তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার আগে আমরা তার লালারস সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভুবনেশ্বরের সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ হেলথ (সিডব্লুএইচ) এ ব্যাপারে সাহায্য করবে। তবে তাদের ওখানে কোভিড-১৯ টেস্টের ব্য়বস্থা নেই বা টেস্ট করানোর সরকারি অনুমতিও নেই, তাই ওই প্যাঙ্গোলিনের লালারস সংগ্রহ করে যেসব ল্যাবরেটরিতে বর্তমানে এই পরীক্ষা হচ্ছে, সেখানে পাঠানো হবে। ওইউএটি-র প্রিভেনটিভ মেডিসিন শাখার প্রধান প্রফেসর ডঃ নিরঞ্জন সাহু বলেছেন, পরীক্ষার পদ্ধতি একই। তাই যেসব ল্যাবে মানুষের লালারস পরীক্ষা হচ্ছে, সেরকমই কোনও ল্যাবে এই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
করোনাভাইরাস সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যে একাধিক গবেষণা, স্টাডি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সার্স-সিওভি ২ ভাইরাসের সংক্রমণ চেনের মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করতে থাকতে পারে একটি মালয়ের প্যাঙ্গোলিন। এমনকী বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচার-এ প্রকাশিত সাউথ চায়না এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সাম্প্রতিক একটি পেপারে এও বলা হয়েছে যে, প্য়াঙ্গোলিন ও বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া বেশ কয়েকটি ভাইরাসের সংমিশ্রণ হতে পারে করোনাভাইরাস। তা থেকে কোভিড-১৯ হয়।
জন্তু-জানোয়ারের বাজারে প্যাঙ্গোলিনকে দামী মনে করা হয় তার চামড়ার জন্য। ভারতীয় আর চিনা, এই দুধরনের প্যাঙ্গোলিনের দেখা মেলে ভারতে। দুটিই বিপন্ন প্রজাতির। হিমালয়, দেশের উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে দেখা মেলে এদের।