নয়াদিল্লি: ভূমিধসে জীবন্ত চাপা পড়লেন প্রায় ৭০০ মানুষ। পাপুয়া নিউ গিনিতে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ৩০০ জন চাপা পড়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু রবিবার পরিসংখ্যানে সংশোধন ঘটাল International Organisation for Migration (IOM). ৬৭০ জনের বেশি চাপা পড়েছেন বলে জানিয়েছে তারা। কমপক্ষে ১৫০ বাড়িও চাপা পড়ে গিয়েছে মাটির নীচে। আগে ৬০টি বাড়ি চাপা পড়েছে বলে জানা গিয়েছিল। হাতেগোনা কয়েকটি দেহই এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। চাপা পড়া কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। (Papua New Guinea Landslide)


শুক্রবার ভোর ভোর ইয়ামবালি গ্রামে ধস নামে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত লাগাতার ধস নেমে চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে সবুজে ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকাকে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। বাড়িঘর সব মিশে গিয়েছে মাটিতে। পাহাড়ি এলাকায় উপর থেকে বড় বড় চাঙড় খসে পড়ছে। মাটিতে যে পাথর পড়ে রয়েছে, তার এক একটির আকারে চার চাকা গাড়ির সমান। (United Nations)


ধসের ফলে এই মুহূর্তে সেখানকার ২০০ স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে প্রায় ২৫ ফুট উঁচু ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দৃশ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ইতিউতি উপড়ে পড়ে রয়েছে গাছপালা। কান্নার শব্দ ভেসে আসছে চারিদিক থেকে। কিছু বেঁচে রয়েছে কি না, ধ্বংসস্তূপে খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকে।



আরও পড়ুন: Phunjo Lama: গোটা একদিনও নিলেন না, দ্রুততম এভারেস্ট বিজয়ী নারী হলেন এই পর্বতারোহী


এখনও যেহেতু মাটি এবং পাথর খসে পড়ছে পাহাড়ের উপর থেকে, উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত যে ৬৭০ জন চাপা পড়েছেন বলে খবর আসছে এবং যে ১৫০-র বেশি বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বলে হিসেব মিলেছে, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করছে স্থানীয় প্রশাসন। 


স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এলাকায় পাঠানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বিচার করে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য এখনও পর্যন্ত আবেদন জানানো হয়নি যদিও। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। তারা জানিয়েছে, চারটি বড় ফুটবল মাঠকে একসঙ্গে জুড়লে যে জায়গা পাওয়া যায়, তার গোটাটাই ধসে চাপা পড়েছে। সেখানে ৩ হাজার ৮৯৫ মানুষের বাস ছিল। রাস্তাঘাট সব বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। ত্রাণও পৌঁছতেও অসুবিধা হচ্ছে।


দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত পাপুয়া গিনিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের শাখা সংস্থা International Organization for Migration. পাপুয়া গিনিতে সংস্থার দায়িত্বে থাকা সেরহান আকতোপ্রাক জানিয়েছেন, ইয়ামবালি গ্রাম এবং এঙ্গা প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সংশোধিত পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। লাগাতার ধস হয়েই চলেছে এবং মানুষ বিপজ্জনক অবস্থায় সেখানে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।