কলকাতা: বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিমকে খুনের নেপথ্যে রয়েছে তাঁরই বাল্যবন্ধু। বাংলাদেশে বসেই কষা হয়েছিল তাঁকে খুনের ছক, কলকাতায় এসে এমনই জানালেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান। আনোয়ারের খুনিদের গ্রেফতার করা হলেও, এখনও পর্যন্ত দেহাংশ মেলেনি আজও ভাঙড়ের বাগজোলা খালে তল্লাশি চলছে। সেই আবহেই কলকাতায় এসে সাংসদ খুন নিয়ে তথ্য দিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান। (Anwarul Azim)


রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আধিকারিকরা। পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি আধিকারিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেদেশের গোয়েন্দা প্রধান বলেন, "এই অপরাধের ষড়যন্ত্র হয়েছে বাংলাদেশেই। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কলকাতায় খুন করা হয়েছে। দেহ লোপাট করতেই টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়ে হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া মেনে এগোতে চাই আমরা। কলকাতা পুলিশের কাছে এসেছি আমরা, তাঁদের সহযোগিতা চাইব।" (Kolkata News)


বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান আরও বলেন, "আমাদের দেশের আসামি যে কথাগুলি বলেছেন, কোথায় কোথায় গিয়েছেন, সেগুলি যাচাই করব আমরা। আখতারুজ্জামান এই পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড, মদতদাতা। এখান থেকে ১০ তারিখ চলে যায় সে। বাংলাদেশ থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু, কাঠমান্ডু থেকে দুবাই হয়ে আমেরিকা চলে গিয়েছেন। বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁকে কীভাবে হাতে পাওয়া যায়, সেই নিয়ে কথা চলছে।"


আরও পড়ুন: Kolkata CPM Rally: মমতার পাড়ায় CPM-এর প্রচারে পুলিশি বাধা, কালীঘাটে মীনাক্ষীদের মিছিলে ধস্তাধস্তিও


বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিমকে খুনের ঘটনায় কসাই গ্রেফতার হলেও এখনও মেলেনি দেহ। গতকালের পর আজও ভাঙড়ের বাগজোলা খালে তল্লাশি চালাচ্ছে CID. গতকাল যে জায়গায় তল্লাশি চলেছিল, সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে ভাঙড়ের সাতুলিয়া ব্রিজের কাছে চলছে তল্লাশি। নৌকায় চড়ে খালের মাঝখানে গিয়ে জাল ফেলা হবে বলে CID জানিয়েছে, তার জন্য আনা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে জাল টানা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে নৌকা করে খালের মাঝে গিয়ে হাত জাল ফেলা হবে বলে পুলিশ সুত্রে খবর। পর পর দু'দিন নিরাশ হয়ে ফেরার পর আজ জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে।


এর আগে, গতকাল প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চলে। নামানো হয় ডুবুরি। মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার জাল ফেলেও দেহাংশ খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই লাভ হয়নি। আজ সকাল থেকেও নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আখতারুজ্জামানের সঙ্গে আনোয়ারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে মনে করছেন তদন্তকারীরা।