কাঠমান্ডু: মহিলা পর্বতারোহী হিসেবে সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট ছুঁয়ে রেকর্ড গড়লেন নেপালের বাসিন্দা। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট ছুঁতে সাধারণত কয়েক দিন সময় নেন পর্বতারোহীরা। কিন্তু একদিনেরও কময় সময়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ছুঁলেন ফুঞ্জো লামা। দ্রুততম মহিলা এভারেস্ট জয়ী হওয়ার পাশাপাশি, নিজের আগের রেকর্ডও ভাঙলেন তিনি। (Phunjo Lama)
চলতি সপ্তাহেই এভারেস্ট ছুঁতে সফল হন মধ্য তিরিশের ফুঞ্জো। ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার উচ্চতায় পৌঁছতে তিনি সময় নেন মাত্র ১৪ ঘণ্টা ৩১ মিনিট। এমনিতে এভারেস্ট ছুঁতে কয়েক দিন নেন পর্বতারোহীরা। পর্বতের ঢালে তাঁবু খাটিয়ে রাতও কাটান তাঁরা। কিন্তু অর্ধেক বেলার সামান্য বেশি সময় নিয়ে অসাধ্য সাধন করেছেন ফুঞ্জো। এভারেস্টে উঠতে এবং বেস ক্যাম্পে নেমে আসতে সবমিলিয়ে ২৪ ঘণ্টা ২৬ মিনিট সময় নিয়েছেন তিনি। (Fastest Woman To Ascent Everest)
এর আগে, ২০১৮ সালে ৩৯ ঘণ্টা ৬ মিনিটে এভারেস্ট ছুঁয়েছিলেন ফুঞ্জো। সেই সময় এভারেস্ট ছোঁয়া দ্রুততম মহিলা পর্বতারোহীর খেতাব ছিল তাঁরই দখলে। কিন্তু ২০২১ সালে তাঁর সেই রেকর্ড ভেঙে দেন হংকংয়ের আদা সাং ইন-হাং। ২৫ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছন তিনি। সাং ইনের চেয়ে প্রায় ১১ ঘণ্টা কম সময় নিয়ে এবার এভারেস্ট ছুঁলেন ফুঞ্জো। আবারও পৃথিবীর দ্রুততম এভারেস্ট জয়ী মহিলার শিরোপা ফিরে পেলেন।
এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে নেপালের পর্যটন বিভাগের প্রধান খিম লাল গৌতম জানিয়েছেন, ২২ মে দুপুর ৩টে বেজে ৫২ মিনিটে বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেন ফুঞ্জো। সন্ধে ৬টা বেজে ২৩ মিনিটে চূড়ায় পৌঁছে যান। মে মাসের শুরুতে এফারেস্টের বেস ক্যাম্পেই ছিলেন ফুঞ্জো। সেই সময় ফেসবুকে এভারেস্ট জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
পর্বত জয়ের নেশায় ও পেশায় যুক্ত ফুঞ্জো নেপালে বেশ জনপ্রিয়। নেপালি মহিলাদের কাছে তিনি আদর্শ। নেপাল সরকার তাঁকে তেজিং-হিলারি পুরস্কারেও সম্মানিত করেছে। সবচেয়ে দ্রুততম এভারেস্ট জয়ীর রেকর্ড নেপালেরই লাকপা গেলু শেরপার দখলে। ২০০৩ সালে এভারেস্টের শিখরে পৌঁছতে মাত্র ১০ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট সময় নিয়েছিলেন তিনি।
ফুঞ্জোর পাশাপাশি, পর্বতারোহণে রেকর্ড গড়েছেন ৫৬ বছর বয়সি রিতা শেরপা। বুধবার ৩০তম বার এভারেস্ট ছুঁয়ে দেখেন তিনি। এর ১০ দিন আগেই ২৯তম বার এভারেস্টে উঠেছিলেন তিনি।