নয়াদিল্লি: নেতাজিকে সম্মান জানাতে গেলে, তাঁর ভাবধারা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে এমনটাই জানালেন তাঁর কন্যা অনিতা বসু পাফ। 


কী বলেছেন:
অনিতা বসু পাফ বলেন, 'নেতাজিকে অনেকভাবে সম্মান জানানো যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তাঁর ভাবধারা অনুযায়ী কাজ করা। ভারতের সব ধর্মের, জাতপাতের মানুষ যেন ভালভাবে বাঁচার সুযোগ পান। তাঁরা যেন সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারেন। এসব মেনে চলাই তাঁকে সম্মান জানানোর সেরা উপায়। নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে প্রতিক্রিয়া কন্যা অনিতা বসু পাফের।'


 







RSS-এর নেতাজির জন্মদিবস পালনের ঠিক, দু-দিন আগে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জার্মানি থেকে ফোনে নেতাজি-কন্যা বলেছিলেন, নেতাজি এবং আরএসএসের মতাদর্শের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। দু’টি কার্যত দুই মেরুর। নেতাজি বামপন্থী, বিজেপি-আরএসএসের মতাদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর। নেতাজি কন্যার মতে, নিজেদের সুবিধার জন্য, এই কাজ করছে তারা (আরএসএস এবং বিজেপি)। নেতাজির দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছেন তাঁর কন্যা অনিতা বসু পাফ। এর আগে স্বাধীনতা দিবসে প্রাক্কালেও ওই কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, এখন সময় হয়েছে নেতাজির দেহাবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনার। তাঁর দাবি ছিল, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট নেতাজির মৃত্য়ু হয়েছে, এই তথ্যে যাঁদের এখনও সন্দেহ রয়েছে, তাঁদের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা সব উত্তর দেবে।


কী বলেছিলেন তিনি:
একটি বিবৃতিতে নেতাজির কন্যা জার্মানি-নিবাসী অর্থনীতিবিদ অনিতা পাফ বলেছেন, স্বাধীনতার স্বাদ পাননি তাঁর পিতা। তাই এখন অন্তত স্বাধীন ভারতের মাটিতে তাঁর দেহাবশেষ রাখা হোক। তিনি বলেন, 'আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন উন্নতমানের ডিএনএ পরীক্ষা করা সম্ভব। যাঁদের নেতাজির মৃত্যু নিয়ে এখনও সন্দেহ হয়েছে তাঁদের প্রমাণ দেওয়ার জন্য রেনকোজি মন্দিরের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষা করা যায়। রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিত এবং জাপানের সরকার এই পরীক্ষা করাতে রাজি। নেতাজি মৃত্যুর তদন্তে মুখার্জি কমিশনের নথিতেই এর কথা বলা রয়েছে। নেতাজির জীবনে তাঁর দেশের স্বাধীনতার চেয়ে বেশি গুরত্বপূর্ণ কিছু ছিল না। স্বাধীন ভারতে বসবাস করতে চেয়েছিলেন তিনি। যেহেতু জীবিত অবস্থায় সেই সুযোগ তিনি পাননি, তাই এখন তাঁর দেহাবশেষ অন্তত এই দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।'   


আরও পড়ুন: 'টিম নির্মলা', কর ছাড় থেকে আয় বৃদ্ধি ! বাজেটে আম আদমির স্বপ্নপূরণ এঁদের হাতে