নয়াদিল্লি: স্মোককাণ্ডের পর বড়সড় প্রশ্নের মুখে সংসদের নিরাপত্তা (Parliament Security Breach)। দিল্লি পুলিশের হাত থেকে সংসদের নিরাপত্তা গেল CISF-এর হাতে। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার CISF: চলতি বছর ঝাঁ চকচকে সংসদ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানেই ঘটে গিয়েছে নজিরবিহীন ঘটনা। তাও আবার সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তিতে। গত ১৩ ডিসেম্বর লোকসভা চলাকালীন ঢুকে আচমকাই হানা দেয় দুই যুবক। সভার মাঝেই ‘রং স্প্রে’ করেন এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন ২ যুবক। প্রায় ১২০০ কোটি টাকায় তৈরি নতুন এই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের পরিবর্কে এবার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে CISF। সংসদে ঢোকা বেরোনো সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্বভার তাদের। কমপ্লেক্সের মধ্যে নিরাপত্তা লোকসভা সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকবে। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্বভার দিল্লি পুলিশের। সংসদে হামলাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই লোকসভার সচিবালয় সংসদের ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিয়ে সংসদের নিরাপত্তা রক্ষী ও কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তৈরি তদন্তকারী দল। 


কী ঘটেছিল?


গত ১৩ ডিসেম্বর ঘটনার সময় ভারতের নতুন সংসদ ভবনে বক্তব্য রাখছিলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। হঠাৎ পিছনের গ্যালারির দর্শকাসন থেকে ঝাঁপ দেন ২ যুবক। থতমত খেয়ে বক্তব্য থামিয়ে দিলেন খগেন মুর্মু। উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন আশপাশের সব সাংসদরা। স্পিকারের আসনে তখন বসে রাজেন্দ্র আগরওয়াল। ঘটনার আকষ্মিকতায় থমকে গিয়েও তড়িঘড়ি সংসদের অধিবেশন স্থগিত করে দেন তিনি। ততক্ষণে লোকসভার ভিতরে একের পর এক বেঞ্চ টপকে এগিয়ে চলেছে ২ যুবক। দৌড়ে এসে তাঁদের ধরার চেষ্টা করুন সাংসদরাই। এরইমধ্য়ে সংসদের ভিতরে হলুদ রঙের স্প্রে করে দেন ২ যুবক।তাঁদেরকে ধরে ফেলেন সাংসদরাই। লোকসভার ভিতরেই দুই যুবককে লাথি, ঘুষি, চড়, বেধড়ক মারতে শুরু করেন জনপ্রতিনিধিরা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Election Commissioners Appointment Bill: বাদ পড়লেন প্রধান বিচারপতি, ক্ষমতা বাড়ল মোদি সরকারের, ‘বিরোধীশূন্য’ লোকসভায় পাস নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তি বিল