কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করেই প্রযুক্তিগত গোলযোগ দেখা যায় এক্স হ্যান্ডলে। কোনও ইউজারই ঠিকভাবে অপারেট করতে পারছেন না এই সমাজমাধ্যমটি। এক্স হ্যান্ডল খুললেই লেখা দেখাচ্ছে, 'ওয়েলকাম টু ইয়োর টাইমলাইন'। অর্থাৎ একেবারে প্রাথমিক পর্বে এক্স হ্যান্ডলে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যেমন দেখায় তেমনই দেখাচ্ছে। কিন্তু কী এমন হল যার জন্য এই গোলযোগ? হাজার হাজার ব্যবহারকারী সকাল থেকেই অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন। অন্যান্য দিনের মত কারও কোনও টুইট পোস্ট দেখা যাচ্ছে না টাইমলাইনে। বহু মানুষ কোনওভাবেই অ্যাক্সেস করতে পারছেন না এক্স প্ল্যাটফর্ম। 


 


কী গোলযোগ?


এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার এক্স হ্যান্ডলে সমস্যা দেখা গিয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চ এবং জুলাই মাসে পরপর দুবার ডাউনটাইম দেখা গিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। জুলাই মাসে ডাউন ডিটেক্টর রিপোর্ট করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউনাইটেড কিংডমে ১৩ হাজার বারেরও বেশি কমে গিয়েছে। অনেক ব্যবহারকারীই দেখেছেন যে এক্স খুললেই তাদের মেসেজ দেখাচ্ছে, 'সরি, ইউ আর রেট লিমিটেড। প্লিজ ওয়েট ফিউ মোমেন্টস, দেন ট্রাই এগেইন।' একইভাবে ৬ মার্চ নাগাদ বেশ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এক্স। লিঙ্ক, ছবি, ভিডিও কোনও কিছুই খুলছিল না। আবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ জানিয়েছিলেন যে প্ল্যাটফর্মটি আগের থেকে অনেক বেশি স্লো হয়ে গিয়েছে।


গোলযোগ কেটেছে কি?


এদিনও একইভাবে এক্স হ্যান্ডলের ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে সমস্যা দেখা দেয়। ব্যবহারকারীদের একটি মেসেজ দেখাতে থাকে, 'ওয়েলকাম টু ইয়োর টাইমলাইন'। প্রায় ৪৭ হাজারেরও বেশি মার্কিন ব্যবহারকারী এদিন এক্স ব্যবহারে সমস্যায় পড়েন। তবে কিছু সময় পরে আবার প্রযুক্তিগত এই গোলযোগ ঠিক হয়ে যায়।


এলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পরেই বেশ কয়েকবার এরকম Glitch দেখা গিয়েছে, যাকে প্রযুক্তির ভাষায় বলে 'গ্লোবাল আউটেজ'। সংস্থা কিনে নেওয়ার পরে ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই চলে টুইটারে আর তারপর প্ল্যাটফর্মের বেশ কিছু নিয়মকানুনে বদল আনার জন্য কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয় এলন মাস্কের। টুইটারের নাম বদলে 'এক্স' রাখাও এই লোকসানের পিছনে অন্যতম কারণ। বিজ্ঞাপনের বদলে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের ব্যবস্থা চালু করেছেন মাস্ক। তবে এর ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে খুব একটা লাভবান হননি মাস্ক। ব্লুমবার্গ ইনডেক্স বলছে মোট ব্যবহারকারীর মাত্র ১ শতাংশেরও কম মাসিক প্রিমিয়াম পরিষেবার জন্য সাইন আপ করেন যা থেকে বার্ষিক ১২০ মিলিয়নেরও কম উপার্জন হয়।