নয়াদিল্লি: স্মোককাণ্ডে (Smoke Cannister Incident) ৬ রাজ্যে তদন্তে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল (Delhi Police Special Cell )। রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা ও মহারাষ্ট্রে স্পেশাল সেল। এছাড়া তদন্তে আরও ৫০টি দল গড়া হয়েছে। আলাদা আলাদাভাবে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্কের নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। অভিযুক্ত নীলমের হরিয়ানার জিন্দের বাড়ি থেকে পুরনো ডায়েরি ও কিছু বই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিন্দে নীলমের বাড়িতে হানা দিয়েছিল স্পেশাল সেলের ৮ জনের বিশেষ টিম। 


গতকাল বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে  মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'সংসদে যা হয়েছে তা নিঃসন্দেহে গুরুতর'। মমতার সংযোজন, এই সমস্ত কিছুর বিরোধিতা করতেই মূলত তাঁর এই দিল্লি-সফর। গত সপ্তাহে, স্মোক-ক্যান হামলার পর থেকে সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। গত সপ্তাহে এই নিয়ে তীব্র অশান্তি হয়। মোট ১৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। শুধু তাই নয়। পরে 'সাসপেন্ডেড' তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাস হয় রাজ্যসভায়। সিদ্ধান্ত হয়, ডেরেকের আচরণ নিয়ে তদন্ত করবে প্রিভিলেজ কমিটি। 


আচরণ পরীক্ষা ও তদন্তের পর প্রিভিলেজ কমিটিকে তিনমাসের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।চলতি শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে রাজ্যসভায় ঢুকতে পারবেন না ডেরেক ও ব্রায়েন। অভিযোগ, বারবার আসনে গিয়ে বসতে বলার পরেও না শোনায় তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তার আগে, 'ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন 'কাণ্ডে পার্লামেন্টের এথিক্স কমিটির সুপারিশ মেনে তৃণমূলের আর এক জনপ্রতিনিধি মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হয়। এই নিয়েও তুমুল শোরগোল হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নয়, এর বিরোধিতায় সরব হয় 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিক দলগুলিও। 


প্রসঙ্গত, সংসদে স্মোককাণ্ডের (Smoke Cannister Incident) মাষ্টারমাইন্ড ললিত ঝা-এর সঙ্গে এমনিতেই বং কানেকশন প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীদের নিশানায় শাসকদল (TMC)। তার উপর তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের ছবি দেখিয়ে ইতিমধ্য়েই সরব রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন ললিত ঝা কি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় ঘনিষ্ঠ ? আর এবার 'যুব তৃণমূলের পদাধিকারী' বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


আরও পড়ুন, স্মোককাণ্ডের জের, লোকসভায় তুমুল হইচই বিরোধীদের


এই ব্যাপারে দিল্লি পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ললিতের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করতে একাধিক ছবি সামনে এনেছে বিজেপি। সংসদের নিরাপত্তা ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর ছক। পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।ওদিকে, সংসদে তাণ্ডব কাণ্ডে ধৃত ললিত ঝা-কে জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। হয় 'প্ল্যান এ' নয় 'প্ল্যান বি', রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে তাণ্ডবে নেমেছিলেন স্মোক-কাণ্ডের হামলাকারীরা ! সংসদে অশান্তির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-কে জেরায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে বলে দাবি করল পুলিশ।