কলকাতা: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের সুড়ঙ্গ নির্মাণের সময় ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক বাড়ি। উপযুক্ত নিরাপত্তা বিধি না মানার অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। বউবাজার এলাকায় এখনও আতঙ্ক অব্যহত। ধস নামছে একাধিক বাড়িতে। কোথাও বসে যাচ্ছে গোটা বাড়ি। কোথাও আবার চাঙড় ভেঙে পড়ছে।
এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলায় ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল। সূত্রের খবর, আদালত অনুমতি দিলে তবেই শুরু হবে কাজ, এই সময়ের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট পেশ করবে মেট্রো’। আদালতের নির্দেশ, এর মধ্যে পরিবারগুলির একজন করে সদস্য বাড়িতে প্রবেশ করবেন, সংগ্রহ করতে পারবেন পরিবারের মূল্যবান জিনিস।
আপাতত দুর্গা পিটুরি লেন ও স্যাকরাপাড়া লেনের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন হোটেল অথবা গেস্ট হাউসে। কিন্তু তাঁদের মন পড়ে রয়েছে বাড়িতে। তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। এরই মাঝে গতকাল বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নবান্নে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা।
মেট্রো ও কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা। বিপর্যয়ের দায় নিয়ে চলছে চাপানউতোর।
কোনও বাড়ির দেওয়ালজুড়ে বিরাট ফাটল। মেঝে ফেটে চৌচির। রবিবার দুপুরে বিপর্যয়ের পর বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেন এবং স্যাকরাপাড়া লেনের শতাধিক মানুষ গৃহহীন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ক্ষোভের কেন্দ্রে কলকাতা পুরসভা এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ! ৩ বার ধরে সমীক্ষা করার পরও কেন এই বিপর্যয়? প্রশ্ন উঠছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়েও। কারণ, বউবাজারের এই এলাকা দিয়ে মেট্রোর টানেল খোঁড়ার সময় নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল মেট্রো।
মেট্রোর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অঞ্চলে সুড়ঙ্গের কাজ শুরুর আগে বাড়ির মালিকদের একটি চিঠি পাঠিয়েছিল পুরসভা। সেই চিঠি প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরা।
সোমবার ব্যস্ত সময়ে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।