লখনউ: অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে সাহায্যের জন্য ১ কোটি টাকা দেবেন বলে ঘোষণা করলেন উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সরকারে আসার ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর আজ অযোধ্যা সফরে এসেছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পর এটা তাঁর প্রথম অযোধ্যা সফরও বটে। শিবসেনা সভাপতি অযোধ্যায় এক জমায়েতে বলেন, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছে বটে, তবে হিন্দুত্বের সঙ্গে নয়। বিজেপি মানেই হিন্দুত্ব নয়। হিন্দুত্ব আলাদা ব্যাপার। তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করিনি।
গত ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিনের সঙ্গী বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধের ফলে জোট ভেঙে কংগ্রেস, এনসিপি-র হাত ধরে শিবসেনা। মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব। তারপর প্রথম আজ লখনউ আসেন তিনি। কথা ছিল বিকেলে আরতি করবেন মন্দির শহরে, যদিও করোনাভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্কে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়েছে।
ত্রিদলীয় জোট করে মহারাষ্ট্রে সরকার চালালেও নানা ইস্যুতে ইতিমধ্যেই শিবসেনার সঙ্গে কংগ্রেস-এনসিপির মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ন্যূনতম একক কর্মসূচি করেই সরকার গড়েছে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি। উদ্ধব-পুত্র আদিত্য ঠাকরে একটি ব্লগেও লেখেন, অতীতে অনেকবারই বেশ কিছু ইস্য়ুতে সহমত হয়েছে কংগ্রেস, শিবসেনা।
উদ্ধব আজ বলেন, শেষবার যখন এখানে এসেছিলাম, রামমন্দিরের বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি, জটিলতা ছিল। ২০১৮-র নভেম্বরে এসেছিলাম। ২০১৯ এর নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে এবং তা আমার কাছেও তাই। আমি মুখ্যমন্ত্রী হই। এখানে তৃতীয়বার এলাম। যখনই আসি না কেন, ভাল খবর পাই। তিনি আরও বলেন, গতকাল যোগীজির সঙ্গে কথা বলি, তাঁকে বলি, নিশ্চিতভাবেই আমরা মন্দির তৈরি করব, তাঁকে আবেদন করব, মন্দির নির্মাণে সাহায্য করতে এখানে এলে রামভক্তদের জন্য় যেন একটু জায়গার ব্যবস্থা করে দেন। মন্দির তৈরির জন্য ১ কোটি টাকা দেবে মহারাষ্ট্র সরকার।
গত নভেম্বরে সর্বোচ্চ আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে জানায়, উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় যে জমির ওপর হিন্দু, মুসলিম-উভয় সম্প্রদায়ই দাবি করছে, সেটি রামলালার। শীর্ষ আদালত রায়ে সরকারকে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের তদারকি করতে একটি ট্রাস্ট গড়ারও নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি মসজিদ গড়তে ৫ একর জমির বন্দোবস্তও করতে বলে। সেইমতো অযোধ্যার ২৫ কিমি দুরে লখনউ হাইওয়ের পাশে ধনিপুর গ্রামে জমির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী শ্রীকান্ত শর্মা।