নয়া দিল্লি:  বিজ্ঞাপন নিয়ে শীর্ষ আদালত তলব করতেই ক্ষমা চাইলেন যোগগুরু বাবা রামদেবের সঙ্গী তথা পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বালকৃষ্ণ। কোম্পানির পণ্য এবং তাদের ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর দাবির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য একটি অবমাননার নোটিশের জবাব না দেওয়ার জন্য আদালত পতঞ্জলিকে ধমকও দেয়। হলফনামায় বলা হয়েছে, 'আমরা নিশ্চিত করব যে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলি যাতে জারি করা না হয়৷ আমাদের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র এই দেশের নাগরিকদের পতঞ্জলি পণ্যগুলি খাওয়ার মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার পরামর্শ দেওয়া।' 


পতঞ্জলির 'বিভ্রান্তিকর' বিজ্ঞাপন মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগে যোগগুরু রামদেবকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে পতঞ্জলি সংস্থার পরিচালক আচার্য বালকৃষ্ণর উদ্দেশ্যে অবমাননার নোটিশ জারি করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত।


পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন নিয়ে আরও চাপে রামদেব। এর আগে বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধে অবমাননার নোটিশ জারি করলেও তার কোনো উত্তর পায়নি সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই আদালত বালকৃষ্ণর উদ্দেশ্যে জানায়, এতদিন হয়ে গেলো আদালতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। পরবর্তী শুনানিতে আদালতের সামনে হাজিরা দিতেই হবে। আদালত আরও জানিয়েছে, Drugs and Remedies Act-র ৩ এবং ৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। অর্থাৎ ওষুধ নিয়ে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দেওয়ায় অভিযোগ দুজনের বিরুদ্ধে।


২০২৩ সালের নভেম্বরে সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছিল যে এটি চিকিৎসার কার্যকারিতা বা ওষুধ ব্যবস্থার সমালোচনা সম্পর্কে কোনও বিবৃতি বা অপ্রমাণিত দাবি করবে না। কিন্তু কোম্পানিটি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিতেই থাকে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি এবং স্থূলতার মতো রোগের ওষুধের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে নিষেধ করে। তারা পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ এবং আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অবমাননার নোটিশও জারি করে।                                                               


আরও পড়ুন, 'নব্বই শতাংশ প্রোমোটারই চোর-ডাকাত-পকেটমার', গার্ডেনরিচকাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য TMC'র বরো চেয়ারম্যানের


আইএমএ –র অভিযোগ ছিল, কোভিডের সময় কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।