কলকাতা: করোনা আবহে জেরবার দেশ, ভয়াবহ পরিস্থিতি রাজ্যেও। কোথাও বেডের আকাল, কোথাও আবার অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছেন রোগী। চূড়ান্ত হয়রানির ছবিটা দেশ জুড়ে প্রকট। বুধবার ফের সামনে এল আরও এক নির্মম ছবি। বেডের জন্য স্বাস্থ্য কমিশনের তদন্তকারী দলের পায়ে লুটিয়ে পড়ে কাঁদছেন রোগীর পরিজন। বেহালার অ্যাপেক্স নার্সিংহোমের ঘটনা।


ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশে রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল এই নার্সিংহোমে। আর সেই সময়েই গুরুতর তিন রোগী আসে হাসপাতালে। নির্দেশ থাকায় তাঁদের ফিরে যেতে বলা হয় হাসপাতালের তরফে। রোগীর ওই আত্মীয়রা জানাচ্ছে প্রায় ৬,৭ টি হাসপাতালে ঘুরেও কোথাও বেড মেলেনি। অবশেষে বেহালার এই নার্সিংহোমে এসেছিলেন তাঁরা।


বুধবার সেই সময়ে হঠাৎ তদন্ত করতে হাসপাতালে হাজির হয় স্বাস্থ্য কমিশনের তদন্তকারী দল। তখনই সেই দলের কর্মীদের পায়ে লুটিয়ে পড়ে কাঁদতে থাকে রোগীর আত্মীয়রা। বেডের জন্য কাতর আবেদন করতে থাকেন। রোগী ভর্তি বন্ধ থাকলেও ৩ রোগীকে তড়িঘড়ি ভর্তির নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য রোগী ভর্তি রোগী বন্ধ থাকবে।’ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য কমিশন।


এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য কমিশনের তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক জানান, 'এখানে কোভিডের বেশ কয়েকটা বেড রয়েছে। তবে নার্সিংহোমের চিকিৎসা নিয়ে মানুষের কিছু অভিযোগ ছিল। খতিয়ে দেখতেই রোগী ভর্তি বন্ধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা দেখে গেলাম। যা পর্যবেক্ষণ হল, সবটাই জানাব চেয়ার পার্সনকে।' তিনি আরও বলেন, 'তিনজন রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে। যেহেতু ব্যবস্থা রয়েছে এবং বেডও ফাঁকা তাই মানবিকতার খাতিরে তিনজন আশঙ্কাজনক রোগীকে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' 


অন্যদিকে রোগীর পরিবারের এক সদস্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবিপি আনন্দকে। ভর্তিতে সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞ বলেও উল্লেখ করেছেন রোগীর ওই আত্মীয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ওই তিন রোগীকে ভর্তির ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।