নয়া দিল্লি : কয়েকজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর সরকারের নজরদারি চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনও ভিত্তি বা সত্যতা নেই। অতীতেও, হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাসের ব্যবহার নিয়ে একই দাবি করা হয়েছিল। তারও কোনও সারবত্তা ছিল না। প্রত্যেক পার্টি সেই রিপোর্ট অস্বীকার করেছিল। এমনকী সুপ্রিম কোর্টেও সেকথা জানায় হোয়াটসঅ্যাপ। এই রিপোর্টও অসৎ উদ্দেশে তৈরি। ভারতীয় গণতন্ত্র এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা। পেগাসস বিতর্কের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত সরকার।    


কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, ভারতে শক্তসমর্থ গণতন্ত্র রয়েছে। মৌলিক অধিকার হিসেবে দেশের সব নাগরিকের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে তৎপর কেন্দ্র। পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল ২০১৯ এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি রুলস ২০১৯-এর সূচনা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা হয়। এছাড়া এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। ভারতীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি বাক স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার। 


আরও বলা হয়েছে, পেগাসাসের ব্যবহার নিয়ে রাইট টু ইনফরমেশন এর আবেদনে ভারত সরকারের জবাব মিডিয়ায় খবর হয়েছে। ভারত সরকার ও পেগাসাসের সম্পর্ক সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সেই উত্তরই যথেষ্ট। এব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন ভারতের বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী। সংসদেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। সরকারি কোনও সংস্থার তরফে অননুমোদিত কোনও ইন্টারসেপশন চালানো হয়নি। এটা জেনে রাখা দরকার যে, ইন্টারসেপশনের জন্য সরকারি এজেন্সিগুলির কাছে কিছু প্রতিষ্ঠিত প্রোটোকল আছে। যার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উচ্চস্তরীয় অফিসারের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে।


প্রসঙ্গত, ইজরায়েলি সংস্থা NSO গ্রুপ এই পেগাসাস স্পাইওয়্যার তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে সাইবার অস্ত্র বলে থাকেন। ২০১৬ সালে এটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। ভারতের ৪০ জন নামী সাংবাদিকের ফোন নম্বর লিক হওয়ার পর পেগাসাসের ফাঁদ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাছাড়া ফরেনসিক পরীক্ষা নিশ্চিত করেছে যে, কয়েকজনের ক্ষেত্রে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সফলভাবে নজরদারির চালানো হয়েছে।