নয়া দিল্লি : পেগাসাস বিতর্কে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এবার এই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তদন্তও দাবি করেন তিনি। 


খাড়গে বলেন, রাহুল গাঁধী সহ একাধিক বিরোধী নেতা, বিভিন্ন সাংবাদিক, এমনকী কেন্দ্রীয়মন্ত্রীদের উপর স্নুপিংয়ে জড়িত প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তদন্ত শুরুর আগে পদত্যাগ করুন অমিত শাহ। মোদি সাহেবের বিরুদ্ধেও তদন্ত চালানো উচিত।


অন্যদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলছেন তিনি ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে প্রোমোট করেন। কিন্তু, আজ আমরা নজরদারি ভারত দেখতে পাচ্ছি। এনএসও বলছে, তাদের প্রোডাক্ট শুধুমাত্র সরকারই ব্যবহার করে। অপরাধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে। কিন্তু, ওরা পেগাসাস ব্যবহার করছে তাঁদের বিরুদ্ধে যাঁরা মোদির বিরুদ্ধে কথা বলেন। 


এদিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তরফে যে ভিত্তিহীন মন্তব্য করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতে সরকার চালানো একটা দল নতুন করে আরও নীচে নেমে গেল। 


এদিকে প্রসাদও তাঁর উত্তরসূরী অশ্বিনী বৈষ্ণর সুরেই সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে আগে এরকম একটা রিপোর্ট প্রকাশের পিছনে কী ইচ্ছা রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণ। রবিশঙ্কর প্রসাদের জায়গায় তিনি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হয়েছেন। ২০১৭ সালের সম্ভাব্য নজরদারির তালিকায় তিনিও ছিলেন। সেই সময় তিনি সাংসদ, মন্ত্রী বা বিজেপির সদস্য-কিছুই ছিলেন না।


এদিকে অশ্বিনী বৈষ্ণ ছাড়াও আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পেগাসাস টার্গেটে ছিলেন বলে দাবি 'দ্য ওয়্যার'-এর। তিনি হলেন প্রহ্লাদ প্যাটেল। লিক হওয়া লিস্টে শুধু তাঁর বা তাঁর স্ত্রীর ফোন নম্বরই ছিল না। মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও ১৫ জনের ফোন নম্বর ছিল সেই তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর রাঁধুনি এবং মালিও।