কলকাতা : পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কে তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি 'দ্য ওয়্যার' -এর। তাদের তরফে বলা হয়েছে, হ্যাক করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোন। এর পাশাপাশি রাহুল গাঁধীর দুটি ফোন নম্বরকেও টার্গেট করা হয়েছিল বলে খবর। টার্গেট ছিল রাহুলের কিছু সহযোগী, বন্ধুর ফোন নম্বরও। শুধু তাই নয়, ইজারায়েলি স্পাইওয়্যারের টার্গেট তালিকায় নাম কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণেরও।
সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণ। রবিশঙ্কর প্রসাদের জায়গায় তিনি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হয়েছেন। ২০১৭ সালের সম্ভাব্য নজরদারির তালিকায় তিনিও ছিলেন। সেই সময় তিনি সাংসদ, মন্ত্রী বা বিজেপির সদস্য-কিছুই ছিলেন না।
এদিকে অশ্বিনী বৈষ্ণ ছাড়াও আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পেগাসাস টার্গেটে ছিলেন বলে দাবি 'দ্য ওয়্যার'-এর। তিনি হলেন প্রহ্লাদ প্যাটেল। লিক হওয়া লিস্টে শুধু তাঁর বা তাঁর স্ত্রীর ফোন নম্বরই ছিল না। মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত আরও ১৫ জনের ফোন নম্বর ছিল সেই তালিকায়। এর মধ্যে রয়েছেন তাঁর রাঁধুনি এবং মালিও।
এদিকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোন হ্যাকের অভিযোগের আঁচ সংসদে। আরও নাম সামনে আসবে, সরকারের জবাব চাইবে তৃণমূল, বললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তবে সংসদ শুরুর আগের দিন হঠাৎ করে বিষয়টি সামনে আসেনি, দাবি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের।
এদিকে এই ইস্যুতে সুর চড়ায় কংগ্রেস। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, “মোদি সরকার রাষ্ট্রের সুরক্ষা নিয়ে খেলা করছে। মোদি সরকার রাহুল গাঁধীর মতো দেশের বিরোধী নেতাদের, একাধিক সাংবাদিকের এবং বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে আসীন ব্যক্তিত্বদের উপর নজর রেখেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির নাম বদলে এবার ভারতীয় জাসুস পার্টি করে দেওয়া উচিত। দেশের লোক এখন বলছে, আবকী বার দেশদ্রোহী জাসুস সরকার। যেভাবে এই ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে মনে হচ্ছে মোদি সরকার দেশের সংবিধানের ওপর আঘাত হেনেছে, আইন কানুনের উপর আঘাত হেনেছে, মৌলিক অধিকারের ওপর আঘাত হেনেছে।"