নয়া দিল্লি : পাঁচ বছরে ডবলের দিন শেষ। অনেক প্রাইভেট ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে গিয়ে ঝুঁকির খেসারত দিতে হচ্ছে গ্রাহককে। সেখানে আশ্বস্ত করছে পোস্ট অফিসের জমার প্রকল্প। মাসে ৫ হাজার টাকা জমা দিলে পাঁচ বছরে ৩.৪৮ লক্ষ টাকা দেবে পোস্ট অফিস।


৩-৪ শতাংশের বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে না অধিকাংশ ব্যাঙ্কের সেভিংস ডিপোজিটে। টাকা জমা থাকলেও ঝুঁকির চিন্তায় মাঝে মধ্যেই রক্তচাপ বাড়ছে গ্রাহকের। প্রায়শই ব্যাঙ্ক প্রতারণার খবর কপালে ভাঁজ ফেলছে মধ্যবিত্তের। সেখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে সরকারি পোস্ট অফিস। নগদ সুরক্ষার সঙ্গে রয়েছে একাধিক স্কিম।


রেকারিং ডিপোজিটে ৫.৮ শতাংশ দিচ্ছে পোস্ট অফিস


ব্যাঙ্কে আপনার জমার সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা সুরক্ষিত। সেই ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসে টাকা রাখার সুরক্ষা দিচ্ছে খোদ ভারত সরকার। প্রতি মাসে কম পরিমাণে টাকা জমিয়ে বড় অঙ্ক পেতে পারেন আপনি। পোস্ট অফিসে রেকারিং ডিপোজিটের মেয়াদকাল ৫ বছর। পরবর্তীকালে এই পাঁচ বছরের মেয়াদকাল শেষ হলে নতুন করে আরও পাঁচ বছরের জন্য রেকারিং করতে পারবেন গ্রাহক। প্রতি মাসে রেকারিং ডিপোজিট বজায় রাখতে হলে ন্যূনতম ১০০ টাকা জমা রাখতে হবে গ্রাহককে। এখানে প্রতি মাসে কোনও সর্বোচ্চ জমার বিধিনিষেধ নেই। ৫.৮ শতাংশ ফিক্সড সুদ পাওয়া যাবে এই রেকারিং ডিপোজিট থেকে।


পোস্ট অফিসে আরও কী সুবিধা পাবেন আপনি ?


স্মল সেভিং স্কিমে বেশ কিছু সুবিধা দেয় পোস্ট অফিস। সিঙ্গল ও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে রয়েছে রেকারিং ডিপোজিট করার সুবিধা। বিপদে পড়লে ৫ বছরের মেয়াদকালের আগেই টাকা তুলে নিতে পারবেন গ্রাহক। অ্যাকাউন্ট খোলার তিন বছর পর এই সুবিধা পাবেন গ্রাহক। এখানে কোয়ার্টারলি বেসিসে সুদের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। এ ছাড়াও রয়েছে লোনের সুবিধা। জমার এক বছর পর ডিপোজিটের ৫০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবেন গ্রাহক।


কেন বেশি সুরক্ষিত পোস্ট অফিস ?


একবার ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণা হলে গ্রাহকের গচ্ছিত টাকার সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। অন্তত তেমনই নিয়ম রয়েছে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স ও ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের। এই নিয়ম সব ব্যাঙ্কের শাখার জন্যই প্রযোজ্য। জমা ও সুদ নিয়ে সর্বোচ্চ এই পাঁচ লক্ষ টাকা পেতে পারেন গ্রাহকরা। সেক্ষেত্রে কারও বেশি টাকা জমা থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে গ্রাহককে। তবে সরকারি পোস্ট অফিসে এই ধরনের কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ সরকার নিজেই পোস্ট অফিসের টাকা খাটায়। তাই কিছু হলে পুরো টাকার দায়িত্ব সরকারের।