ফের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা আমেরিকায়। এবার পেনসিলভানিয়ায়। বিমানটিতে ছিলেন ৫ যাত্রী। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে প্রকাশ,  আগুন লেগে যাওয়া সত্ত্বেও ৫ জন যাত্রীই বেঁচে গিয়েছেন। যদিও তাঁদের শারীরিক অবস্থা কেমন, আদৌ প্রাণে বাঁচবেন তা তাঁরা ? এখনও পর্যন্ত সেই খবর জানা যায়নি।


এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের দেওয়া  তথ্য অনুসারে,  বিমানটি ল্যাঙ্কাস্টার বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে ওহাইওর স্প্রিংফিল্ডের স্প্রিংফিল্ড-বেকলি মিউনিসিপ্যাল ​​বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। সূত্রের খবর, বিমানটি ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই পাইলট জানান যে একটি  বিমানে একটি  দরজা খোলা রয়েছে এবং বিমানটিকে অবতরণ করাতে হবে।  কিন্তু সম্ভবত অতিরিক্ত হাওয়ার জন্য পাইলট কন্ট্রোলারের কথা শুনতে পাননি। 


সূত্রের খবর,  বিমানের সব যাত্রীকেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাত ভাবে ৫ জনের প্রাণ বাঁচলেও দুর্ঘটনায় দাউদাউ করে জ্বলে গেল একাধিক গাড়ি।  ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ৭৫ মাইল (১২০ কিমি) পশ্চিমে ম্যানহেইম টাউনশিপের  ব্রেথ্রেন ভিলেজের কাছে ঘটনাটি ঘটে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক মাস আগেই ফিলাডেলফিয়ায় একটি মর্মান্তিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় সাতজন মারা গিয়েছিলেন। 


বিমান দুর্ঘটনায় ভয়াবহ পরিণতি 


যেখানে বিমানটি ধসে পড়ে, সেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে ।  প্রত্যক্ষদর্শী ব্রায়ান পিপকিন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন , বিমানটি হঠাৎ বাম দিকে ঘুরে গিয়ে নীচে পড়ে যায়। পড়ার সময়ই আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। ওই ব্যক্তি গাড়ি চালানোর সময় দৃশ্যটি দেখেন । সঙ্গে সঙ্গে  জরুরি পরিষেবার ৯১১ তে ফোন করেন। তাঁরই তোলা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কীভাবে বিমানটি থেকে কালো কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। বিমানটি যেখানে পড়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলোতে পরপর আগুন ধরে যায়।তবে সৌভাগ্যক্রমে নিকটবর্তী তিনতলা বাড়িটির কোনও ক্ষতি হয়নি। 






ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি


খবর পেয়েই ল্যাঙ্কাস্টার বিমানবন্দর থেকে একটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তারপর সেখানে পৌঁছায় বড় বাহিনী। ভয়াবহ আগুন আর কালো ধোঁয়া পেরিয়ে দমকলকর্মীদের উদ্ধারকাজ চালানো নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ ছিল।  আগুন নিয়ন্ত্রণ করা  চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে ১২ টি গাড়িতে আগুন ধরে যায়।