সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে শাহিনবাগে এক মাসের বেশি যে অবরোধ, অবস্থান চলছে, তার অন্যতম উদ্যোক্তা শারজিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক ভাষণে বলেছেন, আমরা একজোট হলে উত্তরপূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে আলাদা করে দিতে পারি। পাকাপাকি করতে না পারলেও অন্তত এক-দুই মাস তো করতেই পারি।
সিএএ ইস্যুতে দেশব্য়াপী বিতর্কের মধ্যেই শাহিনবাগের আন্দোলন সম্পর্কেও সোম কটাক্ষ করেন, ওটা কিছু লোকের ‘পিকনিক স্পট’ হয়ে উঠেছে। সারধানার এই বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, শাহিনবাগ সহ নানা শহরে যে মহিলারা বসে আছে, তাদের কোনও কাজকর্ম নেই। এসব প্রতিবাদের পিছনে কারা অর্থ ঢালছে, সেটাও তদন্ত করে দেখার দাবি করেন তিনি। বলেন, সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদের জন্য বিরোধী দলগুলি ওদের হাজার হাজার টাকা দিচ্ছে, বিদেশ থেকেও অর্থ আসছে।
গতকালের জামিয়ার গুলিচালনা প্রসঙ্গে সোম বলেন, কিছু লোক দেশের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। প্রতিবাদীদের ওপর গুলিচালনাও ওদেরই কারসাজি। গুলিচালনায় অভিযুক্ত তদন্তে বিক্ষোভকারীদের দলেরই লোক প্রমাণিত হবে।
রাহুল গাঁধীর সিএএ বিরোধিতার সমালোচনা করেও সোম বলেন, রাহুল নিজের নাগরিকত্ব হারানোর ভয় করছেন। সম্ভবত ওঁর কাছে নাগরিকত্ব প্রমাণের বৈধ নথিপত্র নেই। ওঁর কাগজপত্র পরীক্ষা হলেই সব বেরিয়ে যাবে। সেজন্যই রাহুল সিএএ-র বিরোধী।
গতকালই শিবসেনা তাদের মুখপত্র সামনা-য় প্রকাশিত নিবন্ধে বলেছে, শারগিলের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মাথা কাটা গিয়েছে। এজন্য ওর হাত কেটে চিকেন নেক করিডরে হাইওয়েতে ঝুলিয়ে রাখা হোক।
চিকেন নেক করিডরের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাকি ভারতের সংযোগস্থলে। তার একদিকে নেপাল, আরেকদিকে বাংলাদেশ।
শিবসেনা আরও বলেছে, হিন্দু-মুসলিম বিভেদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইরাক, আফগানিস্তানে যেমন নৈরাজ্য, গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি রয়েছে, এখানেও তেমন সৃষ্টির প্রয়াস চলছে। শহুরে নকশালপন্থা তো আছেই। জনৈক শারজিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু আর কোনও শারজিলের উত্থান হবে না, এটা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারেরই। শারজিলের ‘অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত’ মন্তব্যকে দেশবিরোধী, বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়েছে তারা।