নয়া দিল্লি: শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা..... আড্ডা হোক কিংবা মন খারাপ, চা-ই আমাদের ভরসা। মেঘলা আকাশে বৃষ্টির দিনে কিংবা কনকনে ঠান্ডায় এক কাপ চায়ে চুমুক দেওয়ার মজাই আলাদা। যদিও সেই আমেজে এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার কথা জানাচ্ছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। 

না, সব চা-পাতায় নয়। চায়ের দোকানে বা ধাবায় যে ধরনের চা পাতা ব্যবহার করে চা তৈরি করা হয় সেখানে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু কালারিং এজেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন- Rhodamine-B এবং Carmoisine। এই চা পানের জেরে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার রোগও। 

গোটা বিষয়টি নিয়ে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসেছে। FSSAI-এর সাম্প্রতিক কয়েকটি অভিযানে চায়ের দোকানে ব্যবহৃচ গুঁড়ো চা পাতায় মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ কীটনাশক এবং রঙের অস্তিত্ব মিলেছে৷ উত্তর কর্ণাটকের বেশ কয়েকটি জেলা যেমন বাগালকোট, বিদার এবং হুব্বাল্লি জেলায় বেশ কিছু দোকানে এই ধরনের চা পাওয়া গিয়েছে।                                           

কর্ণাটকের খাদ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, ‘আমরা নমুনা পরীক্ষা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করছি৷ ব্যবহৃত ক্ষতিকারক রং, উপাদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷'                                                                                               

কেন ব্যবহার করা হয় কীটনাশক?

চায়ের পাতায় পোকা ধরে। সেই পোকাকে মারতে ব‌্যবহার করা হচ্ছে কীটনাশক ও বিষ। যে-বিষ চায়ের পাতায় থেকে যায়, এবং তা চায়ের সঙ্গে আমাদের শরীরে ঢুকে সবথেকে ক্ষতি করছে লিভার, ফুসফুস এবং কিডনির। সেই কীটনাশকগুলির মধ্যে এমন ৪-৫ টি কীটনাশক রয়েছে, যাদের সাহায‌্য ছাড়া চা-পাতার ভয়ঙ্কর পোকাদের সঙ্গে লড়াই অসম্ভব।

আরও পড়ুন, রাতের কলকাতায় বেপরোয়া গতির তাণ্ডব, পুলিশ সার্জেন্টকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে